সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ০১:২৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব সংবাদদাতা॥
ঢাকা ১৮ আসনের সাংসদ সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুনের মূত্যুতে শূন্য হয়ে পড়েছে এই সংসদীয় আসনটি। আর এই আসনে সংসদ নির্বাচনের দৌড়-ঝাপ শুরু হয়েছে এর মধ্যেই। কেউ বা ছিলেন এর মধ্যেই স্বপ্রতিভ কেউবা ছিলেন ঘুমিয়ে। কিন্তু সাহারা খাতুনের মূত্যুতে অনেকের ঘুম ভেংগেছে, তারা শুরু করেছেন সরকার দলের প্রার্থী হতে দৌড়-ঝাপ।
একটি সূত্র জানায় সরকার দলের প্রায় অর্ধডজন প্রার্থী লবিং এবং তদবির করতে নানান পাড়ায় ছুটছেন। অন্যদিকে বিএনপি থেকে নির্বাচনে প্রার্থী হতে ছুটছেন তাও কম করে সামনে থাকা ৩ জন। যদিও সরকার দল আওয়ামী লীগের কোন সূত্রই কারো নাম নিশ্চিত করছেন না বলে জানা গেছে। লোক মূখে যাদের নাম সামনে আসছে তারা প্রকাশ্যে কোন কথা না বললেও আচার আচরণে বোঝা যায় তাদের প্রার্থী হবার বিষয়টি। আমাদের প্রতিনিধি সরেজমিন ঘুরে এবং নানান মাধ্যম থেকে তথ্য নিয়ে কিছু সম্ভব্য প্রার্থীর নাম তুলে আনতে পেরেছেন।
যাদের মধ্যে আছেন নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও কেসি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খসরু চৌধুরী, বিজিএমইএ নেতা সিদ্দিক সাহেব, আওয়ামী লীগের সাবেক মহানগর নেতা হাবিব হাসান, উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আফসার উদ্দিন খানসহ আরও ৩/৪ জনের নাম শোনা গেলেও সূত্র তা নিশ্চিত করতে পারেনি।
তবে এই সম্ভব্য প্রার্থীদের মধ্যে যারা প্রার্থীতার দৌড়ে এগিয়ে আছেন তাদের সংখ্যা মূলত দুইজন। অন্যদের বিষয়ে খুব একটা পজেটিভ কিছু দেখা যায়নি অতীতে। বিশেষ করে রাজনীতির কারণে হাবিব হাসান মাঠে ছিলেন, তবে সাংসদ হয়ে জনগণের সেবা করতে পারেন এমনদের মধ্যে নীপা গ্রুপের চেয়ারম্যান খররু চৌধুরী এগিয়ে আছেন এবং তিনি অন্যতম। গত প্রায় ১৫ বছর যাবত তিনি এই আসনের মানুষের দারিদ্রতা, অভাব সামাজিক নানান সুবিধা নিয়ে প্রায়ত সাংসদ সাহারা খাতুনের পাশে ছিলেন সব সময়। তার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান কেসি ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে তিনি এই আসনের অসহায় মানুষের পাশে ছিলেন সর্বদা। বিশেষ করে করোনাকালীন সময়ে তার প্রশস্ত সাহায্যের হাত মন জয় করেছে এই আসনের মানুষের বলে জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।
এই বিষয়ে আমাদের প্রতিবেদক নিপা গ্রুপের চেয়ারম্যান খররু চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান এই বিষয় নিয়ে এখনো ভাবছিনা আমরা এখনাে সাহারা আপার বিদেহী আত্তার মাগফেরা কামনা করছি। তবে আমরা জনগনের হয়ে কাজ করছি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যাকে নমিনেশন দিবেন আমরা তার হয়ে কাজ করবো। আর তিনি যদি যোগ্য মনে করে আমাকে নমিনেশন দেন তাহলে ঢাকা ১৮ আসনের মানুষের জন্যে কাজ করবো।ইনশাআল্লাহ্
অন্যদিকে হাবিব হাসান দীর্ঘদিন রাজনীতি করলেও জনগনের পাশে আসতে পারেননি খুব একটা। তার কিছু আত্মীয় পরিজনদের বিরুদ্ধে রয়েছে সাধারণের মাঝে নীতিবাচক মনোভাব । বিজিএমইএ এর সাবেক নেতা সিদ্দিক সাহেবকে ১৮ আসনের জনগন খুব একটা চেনেন এমন নয়। ফলে তাকে নিয়ে তেমন আলোচনা নেই মাঠে।
মূলত এই আসনের নির্বাচন করার মত প্রার্থী কারা হতে পারে এমন প্রশ্ন অনেক ভোটারকে করায় একবাক্যে সবায় খসরু চৌধুরীকেই এগিয়ে রাখছে বলে জানা গেছে।
তবে প্রতিবেশ বলছে নিশ্চিত কিছু জানতে এবং নতুন চমক দেখতে অপেক্ষা করতে হবে ঢাকা ১৮ আসনের জনগনকে কুরবানির ঈদের পর পর্যন্ত। আর প্রার্থী নিদৃষ্ট করতে আওয়ামী লীগের তাড়া তেমন না থাকলেও বিএনপি নামতে চাইছে কমোড় বেধে। রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হিসেবে সাহারা খাতুনের বিকল্প সাংসদ হবার যোগতায় সমকক্ষ অতীতে তার নিজের দলে কেউ ছিলেন না। তার মনে করা হয় প্রায়ত সাংসদ সাহারা খাতুনের অগ্রযাত্রা অব্যহত রাখতে পারেন,, এমন কাছের মানুষদেরই হয়ত সরকার দল আওয়ামী লীগ মনোনীত করবে বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করেন।