নতুন নেতৃত্বের খোঁজে জামায়াত : ডিসেম্বরে আমির নির্বাচন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আগামী ডিসেম্বর মাসে তাদের নতুন আমির নির্বাচন করবে। দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে গোপন ব্যালটের মাধ্যমে, যেখানে দেশের এক লাখেরও বেশি রুকন সদস্য ভোট প্রদান করবেন।
এই অভ্যন্তরীণ নির্বাচন দলটির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তন নিয়ে আসতে পারে, যা জাতীয় নির্বাচনের আগেই এক বড় রাজনৈতিক উদাহরণ তৈরি করতে পারে।
দীর্ঘদিন পর রাজনৈতিকভাবে পুনরুজ্জীবিত জামায়াতে ইসলামী সম্প্রতি দেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আরও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তারা ‘জুলাই সনদ’–এর আইনি ভিত্তি, পিআর পদ্ধতির নির্বাচনসহ পাঁচটি দফা দাবিতে রাজপথে উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে। দলটি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সবচেয়ে বেশি আলোচনা হচ্ছে দলটির আমির নির্বাচনের বিষয়ে, যা শীর্ষ নেতৃত্বের বড় রদবদল আনতে পারে।
বর্তমান আমির, ডা. শফিকুর রহমান, তার দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন, যা চলতি বছরের ডিসেম্বর মাসে শেষ হবে। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, বিদায়ী আমিরের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা একটি তিন সদস্যের প্যানেল তৈরি করবে এবং রুকন সদস্যরা ওই প্যানেল থেকে একজন আমির নির্বাচন করবেন। তবে, প্যানেলের বাইরেও অন্য কাউকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে।
ফ্লোটিলা নৌবহরে বাধার প্রতিবাদে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ
দলীয় সূত্র অনুযায়ী, জামায়াতে ইসলামী বর্তমানে দুটি সম্ভাব্য প্যানেল নিয়ে আলোচনা করছে। প্রথম প্যানেলে রয়েছেন ডা. শফিকুর রহমান, বর্তমান নায়েবে আমির মুজিবুর রহমান এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি এ টি এম আজহারুল ইসলাম। দ্বিতীয় প্যানেলে আজহারের জায়গায় আছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের।
জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল, এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানিয়ে দিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন করা হবে। তার মতে, নতুন আমিরের কাছে জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ থাকবে, যেটি দলটির ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
ডা. শফিকুর রহমান প্রথমবার ২০১৯ সালে জামায়াতের আমির নির্বাচিত হন এবং পরবর্তীতে ২০২২ সালে পুনর্নির্বাচিত হন। যদিও গঠনতন্ত্রে আমিরের জন্য তিন বছরের মেয়াদ নির্ধারিত। তবে একজন ব্যক্তি কতবার এই পদে আসীন হতে পারবেন, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো সীমাবদ্ধতা নেই।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: