আড়াইশর আগেই অলআউট বাংলাদেশ
Post Top Ad

আড়াইশর আগেই অলআউট বাংলাদেশ

প্রথম ডেস্ক

০৫/০৭/২০২৫ ২০:০০:১৪

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ




প্রথম ম্যাচের মতোই আজও ব্যাটিংয়ে দুর্দান্ত শুরু করেছিল বাংলাদেশ। এমন শুরুর পরও লোয়ার মিডল অর্ডার ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বড় সংগ্রহ গড়তে ব্যর্থ বাংলাদেশ। পারভেজ হোসেন ইমন ও তাওহিদ হৃদয়ের ফিফটিতে লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে বাংলাদেশ।


কলম্বোতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪৫ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেছেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন।


গত ম্যাচে দুর্দান্ত ব্যাটিং করা তানজিদ তামিম আজ সুবিধা করতে পারেননি। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই ফিরেছেন এই ওপেনার। আসিথা ফার্নান্দোর করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল আউট সুইং করে আরো বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার সময় ড্রাইভ করতে যান তামিম, টাইমিং না হওয়ায় ব্যাটের কানায় লেগে বল চলে যায় উইকেটকিপারের গ্লাভসে। সাজঘরে ফেরার আগে ১১ বলে ৭ রান করেছেন এই ওপেনার।


তামিম দ্রুত ফেরার পর দলের হাল ধরেন আরেক ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এই দুজনের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। তবে উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি শান্ত। ১২তম ওভারে চারিথ আসালঙ্কাকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে কাউ কর্ণারে ধরা পড়েন তিনি। ১৯ বলে ১৪ রান করেছেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।


গত ম্যাচে ভালো শুরু পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি পারভেজ হোসেন ইমন। তবে আজ কিছুটা আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করলেও বলের গুণাগুণ বুঝে খেলার চেষ্টা করছেন। পেয়েছেন ব্যক্তিগত ফিফটির দেখাও। ৪৬ বলে এই মাইলফলক ছুঁয়েছেন ইমন। তবে ফিফটির পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। ফেরার আগে ৬৯ বলে ৬৭ রান করেছেন এই ওপেনার।


ওয়ানডের নেতৃত্ব পাওয়ার পর এই প্রথম সিরিজ খেলছেন মিরাজ। অধিনায়ক হিসেবে শুরুটা ভালো করতে পারেননি তিনি। অন্তত ব্যাট হাতে ব্যর্থ এই অলরাউন্ডার। প্রথম ম্যাচে ডাক খেয়েছিলেন। দ্বিতীয় ম্যাচে সুযোগ ছিল ফেরার। তবে পারলেন না। দলের প্রয়োজন ছিল জুটি গড়ার কিন্তু বাজে শট খেলে উল্টো দলের বিপদ বাড়িয়েছেন তিনি। ফেরার আগে ১০ বলে করেছেন ৯ রান।


সাধারণত লোয়ার মিডল অর্ডারে খেলেন শামীম। আজ তাকে মিডল অর্ডারে খেলানো হয়েছিল। ছয়ে নেমে ভালোই শুরু করেছিলেন। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি বাঁহাতি এই ব্যাটার। আসিথা ফার্নান্দোর শট বলে পুল করে ছক্কা মারার চেষ্টায় ফাইন লেগে জানিথ লিয়ানাগের হাতে ক্যাচ দিয়েছেন। সাজঘরে ফেরার আগে ২৩ বলে ২২ রান করেছেন তিনি।


শামীম ফেরার পর জাকের আলীকে সঙ্গে নিয়ে জুটি গড়ার চেষ্টা করেন তাওহিদ হৃদয়। ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে বড় সংগ্রহের পথেই ছিল বাংলাদেশ। ২৪ রান করে জাকের ফিরলে ভাঙে ৪৫ রানের জুটি।


এরপরই ধস নামে। ১৪ রানের ব্যবধানে ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ উইকেট জুটিতে তানজিম সাকিব কিছুটা প্রতিরোধ গড়েন। মুস্তাফিজকে নিয়ে ৩০ রানের জুটি গড়েন। সাকিব অপরাজিত থেকেছেন ২১ বলে ৩৩ রান করে।


মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad