প্রধান শিক্ষক বরখান্ত
ছাতকে এক শিক্ষকের ৪ বার বদলী, বদল হয় নি স্বভাব

একজন শিক্ষক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে ৪ বার পরিবর্তন করেছেন বিদ্যালয়। তবে অভিযোগ মাথায় নিয়ে ৪ বার স্কুল পাল্টালেও স্বভাব পাল্টাতে পারেন নি তিনি। ফলে সর্বশেষ পঞ্চমবার বদলী হওয়া স্কুল থেকেও আর্থিক অনিয়ম ও দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তিনি বরখান্ত হলেন। ২৭ জুলাই ওই শিক্ষককে শেষ বারের মতো পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। বরখাস্ত হওয়া শিক্ষকের নাম আবু হেনা।
জানা যায়, শিক্ষক আবু হেনা প্রথম শিক্ষকতা শুরু করেন উপজেলার কালারুকা ইউনিয়নের হাজী কমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে। ২০০৭ সালে দশম শ্রেণীর টেস্ট পরিক্ষায় গনিত ও ইংরেজির প্রশ্নপত্র ফাসের অভিযোগ উঠে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। পরে তিনি অন্যত্র বদলী হওয়ার শর্তে ক্ষমা চান। এ বিষয়ে একই বছরের ১৬ জানুয়ারি বিদ্যালয়ের রেজুলেশনে এ সংক্রান্ত একটি তথ্য লিপিবদ্ধ করা হয়।
পরে উপজেলা শিক্ষক সমিতির সভাপতি বাবু দিগেন্দ্র তালুকদারের সহযোগিতায় তিনি উপজেলার আজমত আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। ওখানেও বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নিতির অভিযোগ উঠলে এলাকাবাসির সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে উপজেলার মল্লিকপুর এসি,এস,ডি,পি উচ্চ বিদ্যালয়ে বদলী হন। সেখানে দুই বছর কর্মরত থাকা অবস্থায় তার বিরুদ্ধে নিয়োগ বানিজ্যের অভিযোগ উঠে। এরপর ওই শিক্ষককে পুনরায় বদলী করা হয় উপজেলার শিংচাপইড় ইউনিয়নের একতা উচ্চ বিদ্যালয়ে। সেখানেও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠলে তৎকালীন ইউনিয়ন চেয়ারম্যান সাহাব উদ্দিন শাহেলের কাছে লান্ছিত হোন আবু হেনা।
সর্বশেষ তিনি জাউয়াবাজার ইউনিয়নের পাইগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককের দায়ীত্ব পালনকালে পুনরায় অর্থিক অনিয়ম ও দায়ীত্ব অবহেলা সহ নানা অভিযোগ উঠে।
এ বিষয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি উপজেলার লক্ষণসোম গ্রামের মৃত হাজী ফজলুল হকের ছেলে দীন মোহাম্মদ সাদিক,ছাতক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত ১০ ফেব্রুয়ারি ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম। দীর্ঘ তদন্ত শেষে শিক্ষক আবু হেনার বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়ম ও দায়ীত্ব অবহেলার সত্যতা পায় তদন্ত কমিটি। যে কারনে গত ২৭ জুলাই ওই শিক্ষককে বিধি মোতাবেক সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ তরিকুল ইসলাম।
ডি আর ডি

মন্তব্য করুন: