উইমেন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতাদের নিয়ে যা বললেন তুলি

সিলেটে নারী উদ্যোক্তাদের একটি সর্ববৃহত একটি প্ল্যাটফর্মের নাম সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। আসছে ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ইংরেজি সিলেট উইমেন চেম্বারের দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী সিলেটের আদি ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান বক্স ব্রাদার্সের উত্তরসূরী বিশিষ্ট নারী উদ্যোক্তা আলেয়া ফেরদৌসি তুলি। এই পদে মোট প্রার্থী ছিলেন ৩ জন। নির্বাচনী তপসিল অনুযায়ী চূড়ান্ত বৈধ মনোনীত প্রার্থীরা মনোনয়ন প্রত্যাহার শেষে এই পদে একমাত্র প্রার্থী হিসেবে তালিকায় আসে আলেয়া ফেরদৌসি তুলির নাম। ফলে এই পদে তিনি প্রাথমিক ভাবে বিজয়ী হিসেবে ধরা হচ্ছে। নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আনুষ্ঠানিক ভাবে সহ সভাপতি পদে আলেয়া ফেরদৌসি তুলিকে বিজয়ী হিসেবে নাম ঘোষণা করবে।
এদিকে নির্বাচনকে সামনে রেখে তিনি রবিবার নিজের ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন। ভোটার ও প্রার্থীদের উদ্দেশ্যে এই লেখার শুরুতেই তিনি উইমেন চেম্বারের প্রতিষ্ঠাতাদের নাম কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করেন। নীচে তাঁর লেখা হুবুহু প্রকাশ করা হলো-
‘সিলেটে নারী উদ্যোক্তাদের একটি সর্ববৃহত একটি প্ল্যাটফর্মের নাম সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি। কিন্তু যে প্রতিষ্ঠানটি আজ সিলেট নারী উদ্যোক্তাদের পথ দেখাচ্ছে, স্বপ্ন দেখাচ্ছে, জন্ম দিচ্ছে শ’য়ে শ’য়ে উদ্যোক্তার, সেই প্রতিষ্ঠানের জন্মের ইতিহাস খুবই সুখকর ছিল না। সকলেই জানেন, ৩৬০ আউলিয়ার পূণ্যভূমি সিলেট একটি রক্ষণশীল অঞ্চল। ফলে নারী উদ্যোক্তাদের চলার পথ খুব প্রশস্ত ছিল না। উপরন্তু প্রতিবন্ধকতার বেড়াজালে তখন প্রচেষ্টা থাকা স্বত্বেও কোন নারী উদ্যোক্তা সফল হতে পারেন নি। সেই দু:সময়ে ঝুঁকি মোকাবেলা করে সিলেটে নারী উদ্যোক্তাদের উপযুক্ত পরিবেশ এবং কর্মক্ষেত্র সহজীকরণে যিনি সর্বাগ্রে এগিয়ে আসেন, তিনি মিসেস স্বর্ণলতা রায়। যার হাত ধরে দু:সময়ে ২০১৫ সালে সিলেট উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আর প্রতিষ্ঠাকাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিনি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতির গুরু দায়িত্ব পালন করেছেন। তাদের অবদান সিলেট উইমেন চেম্বারের ইতিহাস থেকে কোনদিন মুছে ফেলা যাবে না। একই সাথে স্বর্ণলতা দিদির সাথে প্রতিষ্ঠাকালীন যে সব সদস্য জড়িত ছিলেন, তাঁরাও জন্ম ইতিহাসের অংশীদার।
তিলে তিলে তিলোত্তমা হয়ে উঠা সেই সিলেট চেম্বারে আগামী ৬ সেপ্টেম্বর প্রথমবারের মতো ভোটারদের প্রত্যক্ষ ভোটে অনুষ্ঠিত হবে দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে যারা বিভিন্ন পদে প্রার্থী হয়েছেন, তাদের সকলেই আমার খুবই আপনজন। পরিবারের মতো এই প্রতিষ্ঠানের সকলের সাথে আমার হৃদ্যিক সম্পর্ক। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন এবং যারা পুরাতন সদস্য আছেন, তাদের সকলের প্রতিও অফুরাণ ভালোবাসা প্রকাশ করছি। একই সাথে বলতে চাই, যারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, নি:সন্দেহে তাদের সকলের মেধা ও যোগ্যতা রয়েছে। তবুও নির্বাচনী নিয়ম অনুযায়ী ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে ১১ জনের পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচিত করবেন। এই ভোটে যারা নির্বাচিত হবেন, তাদের প্রতি অগ্রিম অভিনন্দন। আর যারা জয় পাবেন না, তাদেরকে বিষয়টি পরাজয় হিসেবে না দেখার অনুরোধ করছি। কারণ যারা পরাজিত হবেন, তাঁরা কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের রক্ষাকবচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। ভুল,ত্রুটি ধরিয়ে দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ রক্ষায় সচেষ্ট ভূমিকা পালন করবেন। কারণ দিন শেষে এই প্রতিষ্ঠান আপনার আমার সকলের একটি সম্মিলিত পরিবার। তাই পরিবার ঠিকিয়ে রাখতে হলে, উদারতা প্রকাশ করে ভালোবাসার হাত বাড়িয়ে দিবেন পরস্পরের প্রতি। মহান আল্লাহ সকলের সহায় হোন।’
মইনুল হাসান আবির

মন্তব্য করুন: