ডিম দিবসের আলোচনায়
সুনামগঞ্জে বছরে ৩৭ কোটি ডিম উদ্বৃত্ত

সুনামগঞ্জ জেলায় প্রতি বছর স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে প্রায় ৩৭ কোটি ১৯ লাখ ২০ হাজার ডিম উদ্বৃত্ত থাকে, যা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হয়। জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) বিশ্ব ডিম দিবস উপলক্ষে সুনামগঞ্জে একটি র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। “ডিমে আছে প্রোটিন, খেতে হবে প্রতিদিন” শ্লোগানকে সামনে রেখে আয়োজিত এই সভায় সভাপতির বক্তব্যে ডা. রফিকুল ইসলাম এই তথ্য তুলে ধরেন। সভাটি সঞ্চালনা করেন জগন্নাথপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. খলেদ সাইফুল্লাহ।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. শুকদেব সাহা, মানবকণ্ঠের স্টাফ রিপোর্টার মোহাম্মদ শাহজাহান চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আমিত সাহা, দিরাই উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এফ এম বাবরা হ্যামিলন এবং তাহিরপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা জানান, সুনামগঞ্জে বছরে মোট ৪০ কোটি ডিম উৎপাদন হয়। জাতীয় গড় হিসেবে একজন ব্যক্তি বছরে ১০৪টি ডিম খান। ২০২২ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, সুনামগঞ্জে জনসংখ্যা ২৬ লাখ ৯৫ হাজার ৪৯৫। এই হিসাবে, জেলার চাহিদা মিটিয়ে উল্লিখিত পরিমাণ ডিম উদ্বৃত্ত থাকে।
তিনি আরও জানান, জেলার ১২টি উপজেলায় প্রতিদিন গড়ে ১২ থেকে ১৩ লাখ ডিম উৎপাদিত হয়। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই হাঁসের ডিম, বাকিটা লেয়ার মুরগি ও অন্যান্য মুরগির ডিম। এই উৎপাদন সুনামগঞ্জকে ডিম উৎপাদনে দেশের অন্যতম প্রধান জেলা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ডিমের পুষ্টিগুণ তুলে ধরে ডা. রফিকুল ইসলাম বলেন, “ডিম প্রোটিনের একটি সহজলভ্য ও সাশ্রয়ী উৎস। নিয়মিত ডিম খাওয়া শরীরের পুষ্টি চাহিদা পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।” তিনি সবাইকে প্রতিদিন অন্তত একটি ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানে বক্তারা ডিমের পুষ্টিগুণ, এর অর্থনৈতিক গুরুত্ব এবং সুনামগঞ্জের প্রাণিসম্পদ খাতের সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। স্থানীয় খামারিদের উৎপাদন বৃদ্ধি ও বাজার সম্প্রসারণে সরকারি সহায়তার ওপরও জোর দেওয়া হয়।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: