জামালগঞ্জের সাচনায় ধারাবাহিক চুরি: ১ চোর গ্রেফতার

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাচনা গ্রামে একের পর এক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে উঠেছে গ্রামবাসী। সম্প্রতি ধারাবাহিক এসব চুরির ঘটনায় সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তবে অবশেষে এ ঘটনায় এক চিহ্নিত চোরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তি লম্বাবাক গ্রামের মৃত ময়না মিয়ার পুত্র মো. জহিরুল হক (৫৫)। তিনি পেশাদার চোর ও মাদকসেবী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।
জামালগঞ্জ থানার এসআই শুভাংশু দে জানান, জহিরুল হকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ইতিমধ্যে ৫–৬টি মামলা রয়েছে। তাকে রামকৃষ্ণ মিশনে চুরির মামলায় আটক করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে সাচনা গ্রামের রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দির, সাংবাদিক দেবব্রত ঘোষ চৌধুরীর বাড়ি, শিক্ষক নবগোপাল রায়ের বাড়ি, সাচনা উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক প্রান্তোষ ঘোষ চৌধুরীর বাড়ি, জামালগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অর্ধেন্দু ঘোষ চৌধুরীর বাড়ি এবং জামালগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক দীনেশ চন্দ্র দাশের বাড়িতে একের পর এক চুরি সংঘটিত হয়। এছাড়া নিগমানন্দ সরস্বতী মন্দিরের দানবাক্স ভেঙেও নগদ অর্থ চুরি হয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট নবগোপাল রায় ও প্রান্তোষ ঘোষ চৌধুরীর বাড়িতে চুরি সংঘটিত হয়। চলতি বছরের জুলাই মাসে চুরি হয় অর্ধেন্দু ঘোষ চৌধুরীর বাড়িতে। সর্বশেষ ১২ সেপ্টেম্বর রাতে সাংবাদিক দেবব্রত ঘোষ চৌধুরীর বাড়িতে চুরি হয়, এরপর মাত্র পাঁচ দিন পর রামকৃষ্ণ মিশনের মন্দিরেও একই ঘটনা ঘটে। আর সর্বশেষ গত শনিবার রাতে দীনেশ চন্দ্র দাশের বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কার ও বাসনপত্র নিয়ে যায় চোরেরা।
গ্রামবাসীর অভিযোগ, প্রায় প্রতিদিন রাতেই চোরচক্র সক্রিয় থাকে এবং মাদকাসক্তদের আড্ডা বেড়ে গেছে। এতে মানুষ আতঙ্কে রাত জেগে থাকতে বাধ্য হচ্ছেন। শিক্ষক, সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের বাড়ি টার্গেট করায় সাধারণ মানুষের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে।
জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রবীন্দ্র কুমার দাস বলেন, ‘ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় গ্রামে চরম ভীতি ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ এখনো পর্যন্ত কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেনি।’
এ রহমান

মন্তব্য করুন: