সিলেটের ঐতিহাসিক টঙ্গীঘর :
Post Top Ad

যে ঘরে থেকেছেন মওলানা ভাসানী

সিলেটের ঐতিহাসিক টঙ্গীঘর :

প্রথম ডেস্ক

১৩/০৬/২০২৫ ০২:২১:৪৩

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

লেখক, বুদ্ধিজীবী সৌমিত্র দস্তিদার কলকাতা থেকেই ফোনালাপে জানিয়েছিলেন  তাঁকে ভাদেশ্বর নিয়ে যেতে হবে। তাঁর আকাঙ্খা পূর্ণ করতে ৩১মে ২০২৫ শনিবার দিনভর বৃষ্টি উপেক্ষা করে বিকেলে পৌঁছে গেলাম ভাদেশ্বর পূর্বভাগে। বাড়িটি আমার স্ত্রী সেলিনা আখতারের পিত্রালয়, যদিও তাঁদের পরিবারের সবাই বর্তমানে ঢাকা, সিলেট নয়তো প্রবাসে। ছবির ঘরটি হচ্ছে বহির্বাটী, স্থানীয় ভাষায় টঙ্গীঘর। আসাম মুসলিম লীগ সভাপতি মওলানা ভাসানী এই টঙ্গীঘরে থেকেছেন। এই পরিবারের  অন্যতম সদস্য আব্দুল মতিন চৌধুরী আসাম সরকারের মন্ত্রী থাকায় বাড়িটি মিনিস্টার বাড়ি নামে খ্যাত। তিনি অল ইন্ডিয়া মুসলিম লীগ ওয়ার্কিং কমিটির এক নম্বর সদস্য ছিলেন এবং ১৯৪৮ সালে মৃত্যু বরণ করেন। 


পাকিস্তানের প্রথম রাজধানী করাচীতে তাঁর ও মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ এর কবর পাশাপাশি রয়েছে। তাঁকে মরণোত্তর পাকিস্তানের সর্বোচ্চ অসামরিক খেতাব নিশান এ পাকিস্তান পদকে ভূষিত করা হয়। বাড়ির সিঁড়ির পাশে একটি সিমেন্টেড বোর্ডে লেখা রয়েছে The birth place of Mr. Abdul Matin Chaudhury, Journalist, Political Leader, and a Trusted Lieutenant of Quaid-E- Azam. উপাচার্য ড. আতফুল হাই শিবলী কর্তৃক আব্দুল মতিন চৌধুরীর উপর ইংরেজি ভাষায় লিখিত বই থেকে সৈয়দ আলী আহমদের বাংলা ভাষান্তরিত একটি সংখ্যা পশ্চিম বাংলার গবেষক সৌমিত্র দস্তিদারের হাতে ঐ সময় তুলে দেওয়া হয়। ছবিতে আমার সাথে সৌমিত্র দস্তিদার, মাহমুদুর রহমান চৌধুরী ওয়েছ, ঢাকার অনীক রহমান, তন্ময় সিংহ বেবী ও রনকেলী'র সাংবাদিক মাহফুজ চৌধুরী কে দেখা যাচ্ছে।


লেখক

অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহীদুল ইসলাম শাহীন

সাবেক সভাপতি 

সিলেট জেলা আইনজীবী সমিতি

(সিলটিজ গ্রুফে লেখকের ফেসবুক পোস্ট)

নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad