শাবিপ্রবি’র ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা
Post Top Ad

শাবিপ্রবি’র ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনায় ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রথম সিলেট প্রতিবেদন

২১/০৬/২০২৫ ১০:৪৬:২৫

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণের ঘটনায় সিলেটের কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করা হয়েছে। সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ সহ অজ্ঞাতনামা দুই থেকে তিন জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়। এদের মধ্যে আদনান ও পার্থ উভয়েই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলো। শুক্রবার (২০ জুন) নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ওই ছাত্রী বাদী হয়ে মামলা করেন। 



মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউল হক। এদিকে মামলার এজাহার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সুরমা আবাসিক এলাকায় একটি মেসে ডেকে নিয়ে ওই ছাত্রীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন তারা। পরে ভুক্তভোগীর অজান্তে ভিডিও ধারণ করে এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করে । এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (৩) ধারা ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১২ এর ৮(১)/ ৮(২) ও ৮(৩) ধারায় মামলা করেন ওই ছাত্রী। এতে ১ নম্বর আসামি শান্ত তারা আদনান, ২ নম্বর আসামি স্বাগত দাস পার্থ এবং দুই থেকে তিনজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।


এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করে পুলিশ। অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ডিজিটাল ট্রাকিং পদ্ধতিতে শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থকে আটক করে পুলিশ। তাদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। আটকের পর প্রক্টর অফিসে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ।


এ ঘটনার পর শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত এবং তা বাস্তবায়নে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন ভুক্তভোগী ছাত্রীর সহপাঠী এবং বিভিন্ন সংগঠনের শিক্ষার্থীরা।


এ বিষয়ে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাদেরকে আটক করা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিক সত্যতা মিলে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদেরকে পুলিশে সোপর্দ করে।


বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার আমরা অভিযোগ পাই। অভিযোগ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে হাজির করা হয়।


তিনি আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে আমরা ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় পরবর্তী প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সে প্রক্রিয়া চলমান।


নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad