দেশে ছয় মাসে ১৯৩০ হত্যাকাণ্ড
Post Top Ad

দেশে ছয় মাসে ১৯৩০ হত্যাকাণ্ড

প্রথম ডেস্ক

১৫/০৭/২০২৫ ১৬:১৪:১৭

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

ছয় মাসে দেশজুড়ে খুন হয়েছেন ১ হাজার ৯৩০ জন। আগের বছরের প্রথম ৬ মাসের চেয়ে তা সাড়ে তিন শো বেশি। নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনাও ২ হাজার বেড়েছে। থেমে নেই অপরহণের ঘটনাও।


বিশ্লেষকেরা বলছেন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যর্থ হয়েছে। অনেক অপরাধে রাজনৈতিক দলের নেতা–কর্মীদের সম্পৃক্ততার কারণে আরও খারাপ হচ্ছে পরিস্থিতি। তাই কর্মীদের নিয়ন্ত্রণে আনতে দলগুলোকে এখনই কঠোর হওয়ার তাগিদ বিশ্লেষকদের।


গত ৯ জুলাই শত শত মানুষের সামনে মিটফোর্ডে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী সোহাগকে। সিসিটিভি ফুটেজে পাথর দিয়ে আঘাত ও বুকের ওপর উঠে লাফাতে দেখা যায় হত্যাকারীদের। এমন নৃশংসতায় হতবাক পুরো দেশ।


দুদিনের ব্যবধানে খুলনায় যুবদলের বহিষ্কৃত নেতা মাহবুবকে গুলি করে হত্যা করা হয়। পায়ের রগও কেটে দেয় দুর্বৃত্তরা। অস্ত্রের মুখে ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলিসহ বিভিন্ন ঘটনায় বেড়েছে নিরাপত্তা শঙ্কা।


পুলিশ সদর দপ্তর জানায়, এ বছর জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সারা দেশে ১ হাজার ৯৩০ জন খুন হয়েছেন। প্রতি মাসেই বেড়েছে নিহতের সংখ্যা। গত বছরের প্রথম ৬ মাসে এই সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৫৪৩।


অপরাধ নিয়ন্ত্রণে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে জনমনে। গণঅভ্যুত্থানের পর মনোবল হারানোয় শতভাগ কাজ করতে পারছে না বাহিনী, স্বীকার করেছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মো. বাহারুল আলম। তিনি বলেন, ‘আমার ফোর্সটাকে গুছিয়ে কার্যকর করার যে বিষয়টা, এ জায়গাটাতে আমি এখনো সন্তুষ্ট না।’


যদিও পুলিশ সদরদপ্তরের দাবি, ঘটনার সাথে সাথেই ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি (মিডিয়া) ইনামুল হক সাগর বলেন, ‘অপরাধ যাতে সংগঠিত না হয়, সেজন্য আমরা বিভিন্ন ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকি। পুলিশ সদস্যরা অত্যন্ত আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছি, যাতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্থিতিশীল থাকে।’


খুন-ডাকাতির পাশপাশি থেমে নেই অপরহণের ঘটনাও। গতবছর প্রথম ৬ মাসে ২৮১টি অপরহণের ঘটনা ছিলো। এবছর এ পর্যন্ত অপহণের শিকার ৫১৬ জন। নারী ও শিশু নির্যাতের ঘটনা ৯ হাজার থেকে বেড়ে ১১ হাজার ছাড়িয়েছে।


অপরাধ বিশ্লেষকেরা বলছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ ও জনগণের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে বিভিন্ন বাহিনী। অপরাধ বিশ্লেষক ড. তৌহিদুল হক বলেন, ‘বিবৃতিত দিয়ে যদি দেশ চলতো, তাহলে দেশের অবস্থা এরকম হতো না। এখানে সরকার কিংবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জোরালো ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের কাছে বিবৃতির চেয়ে ব্যবস্থা দেখতে চায়।‘


সাম্প্রতিক সহিংসতার অনেক ঘটনায় রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের সম্পৃক্ততা থাকায় আরো নাজুক হয়েছে পরিস্থিতি।

মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad