মৃত্যু ১৯, অর্ধশতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা
Post Top Ad

উত্তরায় বিমান বিধ্বস্ত

মৃত্যু ১৯, অর্ধশতাধিক প্রাণহানির আশঙ্কা

সুলতান মোহাম্মদ, ঢাকা অফিস

২১/০৭/২০২৫ ২১:৩৮:০৫

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

রাজধানীর উত্তরায় বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধশতাধিক ছাড়িয়ে যাবার আশঙ্কা করছেন উদ্ধারকর্মীরা। এ পর্যন্ত ১৯ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করা হলেও এই সংখ্যা আরও বাড়ার সম্ভাবনা বলে জানিয়েছে উদ্ধারকারী ফায়ারসার্ভিস টিম। বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান এফটি-৭ বিজিআই এসি ৭০১ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হলে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত বিমানের পাইলটসহ মোট ১৯ জন নিহতের খবর নিশ্চিত করেছে ফায়ার সার্ভিস। এছাড়াও দুর্ঘটনায় শতাধিক আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে অন্তত ৭০ জনকে উদ্ধার করে জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে নেয়া হয়েছে। এতে ধারণা করা হচ্ছে মৃত্যুর সংখ্যা ছড়াতে পারে অর্ধশতাধিক। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১ টার পর বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয় প্রশিক্ষণ বিমানটি।


ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জাহিদুর রহমান জানান, ৯টি ইউনিট ও ৬টি অ্যাম্বুলেন্স কাজ করছে। উদ্ধার কাজ এখনো চলমান আছে। 


সেই সঙ্গে উদ্ধার তৎপরতা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় যোগ দিয়েছে ২ প্লাটুন বিজিবি। দুপুর ১টা ২২ মিনিটের দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট। বর্তমানে উত্তরা, টঙ্গী, পল্লবী, কুর্মিটোলা, মিরপুর ও পূর্বাচল ফায়ার স্টেশনের ১০টি ইউনিট কাজ করছে।


কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সবুজ মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, স্কুলের দোতলা ভবনের প্রবেশ মুখে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে। তখন স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। কিছু শিক্ষার্থী বের হয়ে গেলেও অনেকে ভেতরেই ছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার পরই আগুন ধরে যায়। এতে হতাহতের শঙ্কা অনেক বেশি হতে পারে।


স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দুপুর ১ টা ১৪ মিনিটের দিকে বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়, এ সময় দিয়াবাড়ি এলাকায় আকাশে আগুনের কুণ্ডলী ও ধুয়া দেখতে পায় এলাকাবাসী। খবর পেয়ে ফায়ার স্টেশনের তিনটি ইউনিট কয়েক মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। 


কয়েকজন অভিভাবক জানিয়েছেন, দুপুর ১টায় উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের প্রাইমারি শাখার ছুটি হওয়ায় কিছু শিক্ষার্থী বেরিয়ে যান আর কিছু শিক্ষার্থী বেরোচ্ছিলেন; এমন সময় হঠাৎ আকাশ থেকে বিমানটি আঘাত হানে ক্যাম্পাসের ভিতরে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনের কুণ্ডলীতে ছেয়ে যায় পুরো ক্যাম্পাস। 


অনেকে ধারণা করছেন ব্যাপক প্রাণহানির সম্ভাবনা রয়েছে। ক্যাম্পাসে বাচ্চাদের নিতে আসা অভিভাবক ও বহু শিক্ষার্থী এখানে অগ্নিদগ্ধ হয়ে থাকতে পারে। এ সময় স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিসের লোকজন আহতদের উদ্ধার করে অ্যাম্বুলেন্স এর মাধ্যমে স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করান।

মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad