চালিবন্দরে পাখি বিক্রেতাদের আটক করে ৭০ টি পাখি অবমুক্ত
Post Top Ad

চালিবন্দরে পাখি বিক্রেতাদের আটক করে ৭০ টি পাখি অবমুক্ত

প্রথম সিলেট প্রতিবেদন

৩০/০৮/২০২৫ ১৫:৫৮:৫৫

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

খাঁচায় পাখি নিয়ে ফেরি করে বিক্রয়ের সময় বিক্রেতা দলকে আটক করে স্থানীয় মহল্লার সচেতন লোকজন। এ সময় বিক্রেতাদের কাছ থেকে ৭০ টি পাখি উদ্ধার করে অবমুক্ত করা হয়। অবমুক্ত করা পাখিদের মধ্যে ছিল শিল্পী পাখি মুনিয়া, তোতা, টিয়া, শালিক, ময়নাসহ নানা প্রজাতির প্রায় ৭০ টি পাখি। পরে বিক্রেতাদের আটক করা পাখিদের মূল্য বাবত ‘ধরিত্রী রক্ষায় আমরা’ (ধরা) এর সংগঠকদের পক্ষ থেকে টাকা পরিশোধ করা হয়। 


ঘটনাটি ঘটে শনিবার (৩০ আগষ্ট) বেলা দেড়টায় নগরের চালিবন্দর এলাকায়। পাখি আটক পরবর্তী অবমুক্ত কালীন উপস্থিত ছিলেন, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), সিলেটের সদস্য এডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পী,অ্যাডভোকেট সুদীপ্ত অর্জুন, চালিবন্দর যুব কল্যাণ সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ওবায়দুর রহমান ফাহমি, লিমন দেব, হাসান, জহির, আলমগীর,  প্রমূখ। এছাড়াও পাখি অবমুক্ত করে  দিয়া, পাভেল, অরিকসহ স্থানীয় শিশুরা।


পাখি বিক্রেতা শাহজাহান ও দবির মিয়া জানান, ‘আমরা সিলেটের বিভিন্ন স্থান থেকে শিকারীদের কাছ থেকে পাখি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করি। পাখি শিকার এবং বিক্রয় নিষিদ্ধের বিষয়টিও আমরা অবগত। কিন্তু বাজারে যখন প্রকাশ্যে পাখি বিক্রয় হয়, তখন তো প্রশাসনের কোন অভিযান দেখি না। অভিযান থাকলে আমরা, এই পেশায় পুঁজি বিনিয়োগ করতাম না। শিকারীরা  বলেন,পাখি বিক্রির বিষয়টিও প্রশাসন জানে, কিন্তু শিকারীদের ধরা হলে তখন তো পাখি বিক্রয়া বন্ধ হয়ে যাবে।’ এ সময় পাখি বিক্রেতা দু’জনই ভবিষ্যতে আর পাখি বিক্রয় না করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করলে, তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। 


ধরা সিলেটের সদস্য এডভোকেট অরূপ শ্যাম বাপ্পী বলেন, সিলেট নগরের সর্বত্র প্রকাশ্যে পাখি বিক্রি করা হলেও প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় সিলেট অঞ্চল পাখি শুন্য হতে চলেছে। এখন আর গাছের ডালে বসে চিরচেনা পাখির কণ্ঠ আমরা শুনতে পাই না। অথচ, সিলেট অঞ্চল একটা সময় ছিল পাখিদের অভয়ারন্য। শিকারীদের কারণে আজ অনেক পাখিই বিলুপ্ত হতে চলেছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রশাসনিক পদক্ষেপ জোড়ালো করার দাবি জানান। 


সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুদীপ্ত অর্জুন বলেন,পাখি শিকার করলে বাস্তুতন্ত্রে ভারসাম্য নষ্ট হয়, যার ফলে পরিবেশের ক্ষতি হয়। পাখি শিকারের প্রধান কারণগুলো হলো খাদ্য ও বিনোদন এবং এর ফলে পাখি কমে গেলে পোকামাকড় ও কীটপতঙ্গের সংখ্যা বেড়ে যায়, যা ফসলের ক্ষতি করে। তিনি বলেন, প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে পাখিদের অবাধ বিচরণ নিশ্চিত করতে হবে। 

তাহির আহমদ

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad