সুনামগঞ্জে সংবাদ সম্মেলন
গাজিনগরী হত্যার ২০ দিনেও তদন্তে অগ্রগতি নেই, অভিযোগ জমিয়ত নেতাদের

সুনামগঞ্জ জেলা জমিয়তের সহসভাপতি মাওলানা মুশতাক আহমদ গাজিনগরীর হত্যার ২০ দিন পেরিয়ে গেলেও তদন্তে দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন জমিয়তের নেতারা। সোমবার দুপুরে সুনামগঞ্জ শহরের শহীদ জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা তৈয়্যিবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, গত ২ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১১টার পর থেকে মাওলানা মুশতাক আহমদ নিখোঁজ হন। তিন দিন পর ৫ সেপ্টেম্বর সকালে শরিফপুর পুরান সুরমা নদীতে তাঁর মরদেহ ভেসে ওঠে। এ ঘটনায় পুরো সুনামগঞ্জ জেলায় শোক ও ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
তিনি জানান, এজহারভুক্ত একমাত্র আসামি এম. আব্দুল হাফিজ পাঠানকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হয়নি। রিমান্ড শেষে তাঁকে জেলহাজতে পাঠানো ছাড়া তদন্তে আর কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। হত্যার মূল কারণ, নেপথ্যের হোতা কিংবা পরিকল্পনাকারীরা এখনো শনাক্ত হয়নি বলে দাবি করেন তিনি।
তৈয়্যিবুর রহমান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তদন্তে ধীরগতি জনগণের মধ্যে প্রশাসনের প্রতি আস্থাহীনতার জন্ম দিচ্ছে। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা না হলে জনগণ কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে। এতে কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রশাসনকেই দায়ভার নিতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে ছয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হল-মামলাটি সিআইডি বা পিবিআইয়ের মতো বিশেষায়িত সংস্থার কাছে হস্তান্তর, আসামিকে পুনরায় রিমান্ডে এনে তথ্য উদঘাটন, হত্যার নেপথ্যের সকলকে গ্রেপ্তার, ময়নাতদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ, দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ ও প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্তের অগ্রগতি নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে জানানো। এছাড়া কর্মসূচি ঘোষণা করে জানানো হয়, ২২ সেপ্টেম্বর দিরাই উপজেলায়, ২৪ সেপ্টেম্বর সুনামগঞ্জ সদর উপজেলায় এবং ২৫ সেপ্টেম্বর শান্তিগঞ্জ উপজেলায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এরপরও তদন্তে অগ্রগতি না হলে বৃহত্তর আন্দোলন, প্রয়োজনে হরতাল ও অবরোধের মতো কর্মসূচি দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন জমিয়ত নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা জমিয়তের সিনিয়র সহসভাপতি মাওলানা আনোয়ারুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি শায়খ মাওলানা আব্দুল বছীর, শহীদ মাওলানা মুশতাক আহমদের চাচাতো ভাই নেজামুল ইসলাম, জমিয়তনেতা মাওলানা হাফিজ মুখলিছুর রহমান চৌধুরী, মাওলানা রুকন উদ্দীন, মাওলানা রফিক আহমদ উলাশনগরী, মুফতি বদরুল আলম, মাওলানা আব্দুর রকিব, মাওলানা নুর হোসাইন, মাওলানা রমজান হোসাইন, মাওলানা নাজমুল ইসলাম জাহিদ, যুবনেতা মাওলানা হাফিজ ত্বোহা হোসাইন প্রমুখ।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: