সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে অনাস্থা জানিয়েছেন ইউপি পরিষদের ১২ জন সদস্য।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগপত্র জমা দেন ৯ জন সাধারণ সদস্য ও ৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য। অভিযোগপত্রে চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেনসহ চারজনকে অভিযুক্ত করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়, চেয়ারম্যান তার একক সিদ্ধান্তে টিআর, কাবিখা, কাবিটার চাল-টাকা, রাজস্ব খাত এবং এডিপি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। গত তিন অর্থবছরে (২০২৩-২০২৫) বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের তথ্য গোপন রেখে প্রায় ২০ লাখ টাকার কাজ নিজের নামে বরাদ্দ নেন তিনি। পরিষদের সদস্যদের মতামত উপেক্ষা করে এসব অর্থ লুটপাটের মাধ্যমে ব্যক্তি সম্পদ গড়ে তুলেছেন।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, ক্ষমতার দাপটে চেয়ারম্যান সদস্যদের নানা হুমকি-ধামকি, মামলা-মোকদ্দমা ও ভয়ভীতি দেখিয়ে আসছেন। তার বিরুদ্ধে একাধিকবার অনিয়মের অভিযোগ উঠলেও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওলাদ হোসেন ২০১১ সালে ভাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এর আগে তিনি স্থানীয় একটি বেসরকারি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতা কাজে লাগিয়ে স্বল্প সময়ে তিনি ইউনিয়নের প্রভাবশালী নেতা হিসেবে পরিচিতি পান। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছরে শূন্য থেকে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। তার নামে সিলেট ও ছাতকে জমি ও বাড়িঘর ক্রয়সহ বিপুল সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া, তার ছেলেকে প্রায় ৩৫ লাখ টাকার বিনিময়ে বিদেশে পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মন্তব্য করুন: