রাজনৈতিক চাপে এনসিপিকে শাপলা দিচ্ছে না ইসি : সারজিস

আইনি কোনো বাধা না থাকা সত্বেও রাজনৈতিক চাপে পড়ে নির্বাচন কমিশন এনসিপিকে শাপলা প্রতীক দিচ্ছে না। আর এটি নির্বাচন কমিশনের স্পষ্ট ব্যর্থতা ও অক্ষমতার প্রমাণ বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টি জনগণের আস্থা হারিয়েছে। ভবিষ্যতে এই দুই দলকে বাংলাদেশের কোনো নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। ফ্যাসিস্ট হিসেবে তাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ করে বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মৌলভীবাজারে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জেলা ও সাত উপজেলা সমন্বয় কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, নির্বাচনে আমরা আমাদের জায়গা থেকে বিরোধিতা না জানিয়ে জনগণের প্রত্যাশার কথা তুলে ধরেছি আর সকল রায় ফেব্রুয়ারির মধ্যে হবে না। আমাদের জায়গা থেকে স্পষ্ট বার্তা গণহত্যার সাথে যাদের সম্পৃক্ততা ও ফ্যাসিস্টদের বাহক ছিল তাদের রায় প্রকাশিত হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের আকাঙ্খার বিপরীতে যেতে পারে না।
গণঅধিকার পরিষদ ও এনসিপি নিয়ে সারজিস আলম বলেন, জনগণ এই দু’টি দলকে একসঙ্গে দেখতে চায় তাই ঐক্যের বিষয়ে ইতোমধ্যে আলোচনা শুরু হয়েছে।
অন্তবর্তী সরকারের ব্যর্থতার সমালোচনা করে সারজিস আলম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্বদানকারীদের সঙ্গে নিয়ে সরকার যখন সফরে গিয়েছে, তখন সরকারের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিয়ে যাওয়া উচিত ছিল। নিউইয়র্ক সফরকালে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে থাকা রাজনৈতিক নেতাদের নিরাপত্তা না দেওয়া অন্তর্বতী সরকারের দুর্বলতা এটার দায় সরকারকে স্বীকার করতে হবে।
এ সময় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক এহতেশাম হক, যুগ্ম সদস্যসচিব ও সিলেট বিভাগীয় তত্বাবধায়ক প্রীতম দাস, মৌলভীবাজার জেলা এনসিপির প্রধান সমন্বয়ক ফাহাদ আলম, যুগ্ম সমন্বয়ক এহসান জাকারিয়াসহ জেলা ও উপজেলার অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সারজিস আলম মৌলভীবাজারের জেলা প্রশাসক মো. ইসরাইল হোসেনের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে জেলার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: