হাওরাঞ্চলের শিশুদের জন্য স্কুল স্থাপনের ঘোষণা যুবদল নেতার

সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাক ইউনিয়নের পাগনা হাওরে অবস্থিত রসুলপুর গ্রামে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনের ঘোষণা দিয়েছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান। হাওরাঞ্চলের শিশুদের শিক্ষার আলো পৌঁছে দিতে তিনি নিজস্ব অর্থায়নে এই স্কুল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছেন।
রসুলপুর গ্রামের প্রায় দেড় শতাধিক পরিবারের অধিকাংশই কৃষক ও মৎস্যজীবী। আর্থিক অনটন ও অবকাঠামোগত সংকটের কারণে এখানকার অনেক শিশু এখনো প্রাথমিক শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত। গ্রামের মধ্যে কোনো বিদ্যালয় না থাকায় অনেকে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়, কেউ কেউ পাশের গ্রামে আত্মীয়ের বাড়িতে থেকে পড়াশোনা করে। বর্ষাকালে পানি বেড়ে গেলে স্কুলে যাতায়াত আরও দুর্বিষহ হয়ে ওঠে।
রসুলপুরের বাসিন্দা সৈয়দুর রহমান বলেন, ‘অনেকেই স্কুল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। মাহবুব ভাই গ্রামে এসে বাচ্চাদের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং স্কুল ঘর করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, পানি কমলেই কাজ শুরু করবেন।’
স্থানীয়দের মতে, জামালগঞ্জ উপজেলার ২০টিরও বেশি গ্রামে এখনো কোনো প্রাথমিক বিদ্যালয় নেই। তাদের বিশ্বাস, রাজনৈতিক নেতারা যদি শিক্ষার মান উন্নয়নে এভাবে উদ্যোগ নেন, তাহলে পিছিয়ে পড়া হাওরাঞ্চলও এগিয়ে যাবে।
এ বিষয়ে যুবদলের সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের অন্যতম লক্ষ্য হলো শিক্ষার প্রসার। রসুলপুর গ্রামে গিয়ে দেখি, শিশুদের কোনো স্কুল নেই। তারা স্লোগান দিচ্ছিল— আমাদের দাবি, স্কুল চাই। তখনই আমি কথা দিই, নতুন বছরেই তোমরা নিজেদের স্কুলে পড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাওরাঞ্চলে প্রাথমিক শিক্ষার অবস্থা অত্যন্ত নাজুক। নতুন বাংলাদেশে কোনো শিশুকে শিক্ষার বাইরে রাখা যাবে না। হাওরের পানি নেমে গেলে রসুলপুরে স্কুল নির্মাণের কাজ শুরু হবে। আগামী জানুয়ারি থেকেই শিক্ষার্থীরা সেখানে পাঠদান কার্যক্রম শুরু করতে পারবে। পাশাপাশি যেসব গ্রামে এখনো স্কুল নেই, সেগুলোতেও কীভাবে দ্রুত শিক্ষা কার্যক্রম চালু করা যায়, সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করব।’
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: