যাদুকাটা নদীর বালু লুট ঠেকাতে ইজারাদারের বাঁশের বেড়া
Post Top Ad

যাদুকাটা নদীর বালু লুট ঠেকাতে ইজারাদারের বাঁশের বেড়া

নিজস্ব প্রতিনিধি,সুনামগঞ্জ

১৪/১০/২০২৫ ১৫:০১:১৮

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

সীমান্তবর্তী সুনামগঞ্জ জেলার জনপ্রিয় পর্যটন এলাকা যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগানে অবৈধ বালু উত্তোলন ও পাড় কাটা ঠেকাতে বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছেন যাদুকাটা-২ বালুমহালের ইজারাদার শাহ রুবেল আহমেদ। একই সঙ্গে তিনি এলাকায় স্থায়ী নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অস্থায়ী পুলিশ বা আনসার ক্যাম্প স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন প্রশাসনের কাছে।

সম্প্রতি জেলা প্রশাসকের কাছে দাখিল করা এক আবেদনে শাহ রুবেল আহমেদ উল্লেখ করেন, যাদুকাটা নদী ও শিমুল বাগান সংলগ্ন অঞ্চল দেশের অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, নদীর পাড় কাটা, চাঁদাবাজি ও পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় বাসিন্দা ও পর্যটকরা ভোগান্তিতে আছেন। পূর্বের কিছু ইজারাদারের অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বালু খেকোদের কারণে নদীর নাব্যতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি নিজ উদ্যোগে নদীর পাড় রক্ষায় বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছেন, যাতে অবৈধভাবে কেউ বালু উত্তোলন করতে না পারে।

শাহ রুবেল আহমেদ বলেন, ‘যাদুকাটা নদীর প্রাকৃতিক সৌন্দর্য ও পরিবেশ রক্ষায় আমি নিজ উদ্যোগে বাঁশের বেড়া স্থাপন করেছি। গত ২৬ আগস্ট প্রশাসনের সহায়তায় এলাকাটিতে একটি অস্থায়ী পুলিশ বা আনসার ক্যাম্প স্থাপনের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানাই। পর্যটন এলাকা হওয়ায় জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় স্থায়ী নিরাপত্তা ব্যবস্থা এখন সময়ের দাবি।’

ইজারাদারের দাবি, ইজারা পাওয়ার পর একটি স্বার্থান্বেষী মহল হাইকোর্টে মামলা করে তাঁদের দীর্ঘদিন কার্যক্রম বন্ধ করে রাখে। পরে আদালতের আদেশে পুনরায় কার্যক্রম শুরু করলে ওই মহল আবারও ষড়যন্ত্র শুরু করে। ‘নামে বেনামে অভিযোগ দিয়ে, মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে আমাদের আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করার চেষ্টা চলছে,’ বলেন তিনি। তাঁর দাবি, আসল চিত্র হচ্ছে নদীর পাশের জমির মালিকরাই পাড় কাটছে বা জমি বিক্রি করছে।

এ বিষয়ে গত ১২ অক্টোবর সুনামগঞ্জ জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা হয়। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ড. মোহাম্মদ ইলিয়াস মিয়া সভায় বলেন, ‘আমরাও শুনেছি, যাদের জমি তারাই এসবের সঙ্গে জড়িত। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তিনটি টাস্কফোর্স গঠন করে প্রতিদিন অভিযান চালানো হচ্ছে। যারা পাড় কাটছে বা অবৈধ বালু-পাথর উত্তোলন করছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’


এ রহমান

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad