গণঅবস্থান কর্মসূচি
ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক মৃত্যু ফাঁদে পরিণত : কাইয়ুম চৌধুরী

ঢাকা–সিলেট মহাসড়ক শুধু একটি রাস্তা নয়, সিলেটবাসীর “লাইফ লাইন”—এ কথা উল্লেখ করে আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেছেন, সরকারের অব্যবস্থাপনা ও উদাসিনতার কারণে এই গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় মহাসড়ক এখন মৃত্যু ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সোমবার দুপুরে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে “সিলেটবাসীর গণঅবস্থান ও মানববন্ধন” কর্মসূচিতে তিনি এ মন্তব্য করেন। একই দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো এ কর্মসূচি পালন করে জেলা বিএনপি।
বিএনপি’র জেলা কমিটির সভাপতি কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, “এই মহাসড়ক প্রতিদিন হাজারো মানুষের জীবন–জীবিকার সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু সরকারের অব্যবস্থাপনায় এটি আজ ভয়ংকর ঝুঁকিতে পড়েছে। বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে, আর প্রশাসন নীরব দর্শকের ভূমিকায়।”
তিনি আরও বলেন, “দেশের অন্য অঞ্চলের মতো সিলেটবাসীর ন্যায্য অধিকার নেই। সিভিল সার্ভিস, সামরিক বাহিনী কিংবা জাতীয় রাজনীতির কোথাও আমাদের প্রতিনিধিত্ব নেই। কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব বিকাশের পথ রুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। সরকারের উপদেষ্টামণ্ডলীতেও সিলেটের কেউ নেই—ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বঞ্চনা দিন দিন বাড়ছে। এই বঞ্চনা আর সহ্য করা হবে না।”
কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আগামী ২০ অক্টোবর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা বিএনপি এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে উপজেলা বিএনপি স্মারকলিপি প্রদান করবে।
তিনি বলেন, “যেখানে তিন ঘণ্টায় চট্টগ্রাম যাওয়া সম্ভব, সেখানে আমরা কেন চার ঘণ্টায় সিলেটে আসতে পারব না? সিলেটবাসীও এই দেশের নাগরিক।”
গণঅবস্থান কর্মসূচিতে জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তাজরুল ইসলাম তাজুল–এর সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন নজমুল হোসেন পুতুল, অ্যাডভোকেট হাসান পাটোয়ারী রিপন, ফালাকুজ্জামান চৌধুরী জগলু, ডা. এনামুল হক, অধ্যাপক জিল্লুর রহমান সুয়েব, অধ্যক্ষ নিজাম উদ্দিন তরফদার, বদরুল ইসলাম জয়দু, অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমদ, আব্দুল কাদির সমছু, অ্যাডভোকেট মোস্তাক আহমেদ, আলী আকবর আলী, মাহবুব আলম, মনিরুল ইসলাম তুরন, আবুল হাসনাত, ফজলে রাব্বি আহসান, শাহিন আলম জয়, আপ্তাব উদ্দিন, ছাদিকুর রহমান টিপু, রেজাউর রহমান চৌধুরী রাজু, ফখরুল ইসলাম পাপলু, জামাল মেম্বার, আব্দুল মালিক মল্লিক, সাহেদ মেম্বার প্রমুখ।
সমাবেশে অংশ নিতে সকাল থেকেই বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ হুমায়ুন রশিদ চত্বরে জড়ো হন। রাস্তায় দাঁড়িয়ে তারা মানববন্ধনে অংশ নেন এবং মহাসড়ক সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দেন।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: