যুক্তরাজ্যের মাটিতে বাংলা পাঠদান
বাংলাদেশিদের মধ্যে আলো ছড়াচ্ছে লন্ডন-বাংলা স্কুল

বিদেশের মাটিতে বসেও মাতৃভাষার চর্চা—এ এক অন্যরকম অনুভূতি। যখন প্রবাসী বাংলাদেশিরা তাদের সন্তানদের ব্রিটিশ কারিকুলামে শিক্ষিত করে তুলছেন, তখন সেই একই ব্রিটেনে একদল উদ্যোগী মানুষের প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে লন্ডন-বাংলা স্কুল। এর মাধ্যমে আমাদের সন্তানরা শুধু বাংলায় কথা বলাই নয়, বাংলা লিখতে শিখছে, পড়ছে বাংলা সাহিত্য, আর জানছে বাঙালির ইতিহাস ও সংস্কৃতি। এই স্কুল প্রবাসে বেড়ে ওঠা প্রজন্মের মাঝে শেকড়ের টানকে দৃঢ় ভিত্তি এনে দিয়েছে।
লন্ডন-বাংলা স্কুল হচ্ছে সিলেটের গোলাপগঞ্জ সোশ্যাল ট্রাস্ট ইউকে’র একটি ব্যতিক্রমধর্মী উদ্যোগ। স্কুলটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হলেন গোলাপগঞ্জের কৃতি সন্তান, আমাদের প্রতিদিন পত্রিকার সম্পাদক আনোয়ার শাহজাহান। তাঁর নেতৃত্বে এবং আরও ১৯ জন প্রবাসী সিলেটবাসীর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত হয় এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি।
সম্প্রতি স্কুলটির ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ও গুণী শিক্ষকদের মাঝে সার্টিফিকেট প্রদান অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। জমকালো এ আয়োজন যেন প্রবাসের ভেতরেই একখণ্ড বাংলাদেশ তুলে ধরলো। স্কুল হলরুমে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও শিক্ষক আনোয়ার শাহজাহান।
সার্টিফিকেট ও সম্মাননা বিতরণের মাধ্যমে লন্ডন-বাংলা স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করা হয় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতিচর্চায় অগ্রণী ভূমিকা রাখার জন্য। এসময় উপস্থিত ছিলেন প্রতিষ্ঠাতা প্রধান শিক্ষক তছয়ুর আলী, অনুষ্ঠান পরিচালনায় ছিলেন জেনারেল সেক্রেটারি তারেক রহমান ছানু।
অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান মো. জাকারিয়া, সালেহ আহমেদ, ট্রেজারার সাইফুল ইসলাম, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি হাবিবুর রহমান, ইসি মেম্বার নজরুল ইসলাম, মুহিবুল হক, স্কুল শিক্ষক রোজী খানম, নার্গিস সুলতানা, সায়মা বেগম, মুক্তি নূরে জান্নাত, নূরে ফেরদৌস খুশবু এবং স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।
লন্ডন-বাংলা স্কুল প্রমাণ করেছে, প্রবাসে থেকেও বাংলাকে ভালোবাসা যায়, শেখা যায়, এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সেই ভালোবাসার উত্তরাধিকারী করে তোলা যায়।
নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন: