বুটের নিচে মানবতা: নির্বাক রাষ্ট্র

আজকে সেনাবাহিনির বুটের নিচে যে নিথর দেহটি পড়ে থাকল, তা শুধু একটি জীবনই নয় তা একটি রাষ্ট্রের নৈতিক পরাজয়, সমাজের নীরব আত্মসমর্পণ এবং মানবতার মুখে অদৃশ্য এক লাথি। অস্ত্রধারীর হাতে যে দেহ নিথর হয়ে পড়ে, তার রক্ত শুধু রাস্তায় নয়, গড়িয়ে পড়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের বিবেকের ওপর। যে কোনও হত্যাকাণ্ড; তা যে নামেই হোক, যে পোশাকেই হোক; মানবতাবিরোধী, আর এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ শুধু অধিকার নয়, কর্তব্য।
বুটের শব্দ যখন বিচারকে চাপা দেয়, তখন নাগরিকের মুখ বন্ধ হয়, চোখ বুজে আসে, হৃদয় রক্তাক্ত হয়। এই নিথর দেহ আমাদের জিজ্ঞাসা করে; রাষ্ট্র কার পক্ষে দাঁড়ায়? বন্দুক যার হাতে, ন্যায় কি তার পক্ষে চলে যায়? প্রশ্ন উঠতে হবে; এই মৃত্যুর দায় কার?
নিঃশর্তভাবে বলতে চাই: এই হত্যাকাণ্ড এক কলঙ্ক, যা কোনও বাহিনির মর্যাদা না তুলে তার মানবিক বিচ্যুতি তুলে ধরে।
এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিচার চাই খোলামেলা, স্বাধীন, নিরপেক্ষ বিচার। আর চাই, আর কোনও বুট যেন কোনও দেহকে নিথর না করে দিতে পারে। রাষ্ট্র যদি ন্যায়বিচার না দিতে পারে, তবে রাষ্ট্রের অস্তিত্বই প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
মানবতা হত্যার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ আমাদের ন্যূনতম মনুষ্যত্ব।আমরা যেন ভুলে না যাই নিথর দেহও কথা বলে,তার রক্তেও লেখা থাকে একটি জাতির বিবেকের আয়না।
লেখক : মালেকুল হক, কবি ও প্রকাশক
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: