নিউইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন
Post Top Ad

নিউইয়র্কে গুলিতে নিহত পুলিশ অফিসার কুলাউড়ার যুবক রতন

প্রথম ডেস্ক

২৯/০৭/২০২৫ ১৭:২৬:২৭

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক শহরের ম্যানহাটানের পার্ক অ্যাভিনিউর করপোরেট ভবনে এক বন্দুকধারীর গুলিতে পুলিশ বিভাগের (এনওয়াইপিডি) অফিসার মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দিদারুল ইসলাম রতন (৩৬) সহ চারজন নিহত ও পাঁচজনের বেশি আহত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শেন তামুরা নামের ২৭ বছরের এক যুবক এ হামলা চালান।


নিউইয়র্ক পুলিশ কমিশনার জেসিকা টিশ গণমাধ্যমকে জানান, ঘটনা ঘটানোর এক ঘণ্টা আগে শেন তামুরা লাস ভেগাস থেকে নিউইয়র্কে আসেন। তামুরা বহুতল করপোরেট ভবনের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান এবং পরে নিজেই গুলি করে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিক তদন্তে তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ বলে প্রমাণ পাওয়া গেছে। তবে দিদারুল ইসলাম সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে মৃত্যুবরণ করেন।


জানা যায়, দিদারুল ইসলাম প্রায় চার বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করছিলেন। তাঁর পরিবারে মা-বাবা, স্ত্রী ও দুই সন্তান আছেন। তার স্ত্রী বর্তমানে তৃতীয় সন্তান গর্ভে ধারণ করেছেন। তিনি ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ব্রংস বরোর পার্চেস্টার এলাকায় তিনি বসবাস করতেন। আর তাঁর কর্মস্থল ছিল ব্রংসের ৪৭ প্রিসেন্ট। সোমবার মধ্যরাতে তাঁরা মরদেহ হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয়। নিউইয়র্কে বৃহস্পতিবার তাঁর জানাজা হতে পারে।


নিহত দিদারুল ইসলাম ওরফে রতন বাংলাদেশের মৌলভীবাজারের কুলাউড়া কুলাউড়া পৌরশহরের ৪ নং ওয়ার্ডে মাগুরা আবাসিক এলাকার ১৯৩ নং বাসা নাঈমা নীড়ের বাসিন্দা। হামলায় দিদারুল ইসলামের নিহত হওয়ার খবর শুনে তাঁর বাবা আব্দুর রব হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।


সরেজমিন মঙ্গলবার দুপুরে কুলাউড়ায় দিদারুল ইসলামের বাসায় গেলে দেখা যায় শুনশান নীরবতা। বাসার ২য় তলা খালি। দেশে আসলে এই বাসায় থাকেন দিদারুল ইসলামের পরিবারের লোকজন। তাঁর ফুফাতো ভাই আব্দুল কাইয়ুম জানান, দিদারুল ইসলামই ছিলেন পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। চলতি বছর মার্চেই তারা দেশে এসেছিলেন। তাঁর অনাকাঙ্খিত মৃত্যুতে আমরা শোকাহত।


নিউইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টিমেন্ট তাদের ফেইসবুকে জানিয়েছে, পুলিশ অফিসার দিদারুল ইসলাম আমাদের বিভাগের সেরাদের প্রতিনিধিত্ব করেন। আজ যখন তার জীবন মর্মান্তিকভাবে শেষ হয়ে গেল, তখন তিনি নিউইয়র্কবাসীকে বিপদ থেকে রক্ষা করছিলেন। এই অকল্পনীয় যন্ত্রণার সময়ে আমরা প্রার্থনায় যোগদান করি। আমরা চিরকাল তার উত্তরাধিকারকে সম্মান জানাব।

মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad