বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই চাকরি পেলেন বিজিবিতে
Post Top Ad

বিএসএফের গুলিতে নিহত ফেলানীর ভাই চাকরি পেলেন বিজিবিতে

প্রথম ডেস্ক

১৯/০৯/২০২৫ ০০:০৫:৪৪

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

ভারতের কুচবিহার সীমান্তে ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরী ফেলানী খাতুনের ছোট ভাই আরফান হোসেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডে (বিজিবি) চাকরি পেয়েছেন। গত ২৩ ফেব্রুয়ারি লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) আয়োজিত নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর তিনি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে যোগ দেবেন।

২০১১ সালের জানুয়ারিতে সীমান্তে ১৫ বছর বয়সী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা এবং কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রাখার নির্মম দৃশ্য দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। সেই ঘটনার পর থেকেই ফেলানীর পরিবার ন্যায়বিচারের দাবির পাশাপাশি জীবনের নতুন অধ্যায়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে আসছে।

আরফান হোসেন নিয়োগ পাওয়ার পর বলেন, “বাবা-মায়ের স্বপ্ন ছিল দেশের জন্য কাজ করা। ফেলানী হত্যার পর থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল বিজিবিতে যোগ দেওয়ার। আজ সেই স্বপ্ন পূর্ণ হলো। বিজিবিকে ধন্যবাদ আমাকে দেশের সেবা করার সুযোগ দেওয়ার জন্য।”

ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম বলেন, “ভারতীয় বিএসএফ আমার মেয়েকে পাখির মতো গুলি করে হত্যা করে কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখেছিল। সেই দৃশ্য আজও ভুলতে পারিনি। তবে দেশবাসী ও বিজিবি সবসময় আমাদের পাশে থেকেছে। আজ আমার ছেলে মেধা ও যোগ্যতায় বিজিবিতে চাকরি পাওয়ায় আমি গর্বিত।”

লালমনিরহাট ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, “বিজিবি সর্বদা ফেলানীর পরিবারের পাশে রয়েছে। ফেলানীর ভাই নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে প্রশিক্ষণ শেষে দেশের সেবায় নিয়োজিত হবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। পাশাপাশি সীমান্তে যাতে আর কোনো ফেলানীর মতো ঘটনা না ঘটে, সে বিষয়ে বিজিবি সর্বদা সতর্ক রয়েছে।”


এ রহমান

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad