মৌলভীবাজারে বিএনপির সম্মেলনে ডা. জাহিদ
রাজনৈতিক অনৈক্যই স্বৈরাচারের পথ সুগম করে

বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেছেন, রাজনৈতিক অনৈক্যই স্বৈরাচারের পথ সুগম করে। অনৈক্যের ফাঁক গলে যদি স্বৈরাচার ফেরত আসে, এর দায় একদিন জাতি রাজনৈতিক নেতৃত্বের ওপরই চাপাবে।
শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিকেল তিনটায় মৌলভীবাজার পৌর বিএনপির দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও কাউন্সিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ডা. জাহিদ বলেন, “সংবিধান স্বৈরাচার হতে বলে না। কিন্তু যারা জনগণের ভোটাধিকারকে অপ্রয়োজনীয় মনে করে, গণমানুষের অধিকারকে তোয়াক্কা করে না, তারাই কর্তৃত্ববাদী হয়ে ওঠে। তাই স্বৈরাচার ঠেকাতে হলে রাজনৈতিক মানসিকতা ও সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “কেউ বলছেন পিআর ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সম্ভব নয়। অথচ বিশ্বের বহু গণতান্ত্রিক দেশে এ ব্যবস্থা নেই। জনগণের কাছে যান, বোঝান। জনগণ চাইলে হবে, না চাইলে নয়। জনগণের রায়ই চূড়ান্ত।”
বিএনপি সংস্কারবিরোধী নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বিএনপি সবসময় সংস্কারের পক্ষে। শহীদ জিয়া থেকে শুরু করে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া পর্যন্ত প্রতিটি শ্রেণি-পেশার মানুষকে সংগঠিত করে দেশের উন্নয়ন হয়েছে। নারী শিক্ষা, বিনামূল্যে বই বিতরণ, উপবৃত্তি, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়, যুব ও মহিলা বিষয়ক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা—এসবই বিএনপির অবদান।”
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন পৌর বিএনপির আহ্বায়ক সৈয়দ মমশাদ আহমদ এবং সঞ্চালনা করেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো. আব্দুর রহিম রিপন। প্রধান বক্তা ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ সিদ্দীকি, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি এম নাসের রহমান এবং জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. ফয়জুল করিম ময়ূন। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি মিজানুর রহমান, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মৌলভী আব্দুল ওয়ালী সিদ্দিকী ও আব্দুল মুকিত।
সম্মেলনের শুরুতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ফয়জুল করিম ময়ূন। প্রথম অধিবেশন শেষে বিকেল চারটায় দ্বিতীয় অধিবেশনে গোপন ব্যালটে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। পৌর বিএনপির নয়টি ওয়ার্ডের ৬৩৯ জন ভোটার উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। দীর্ঘদিন পর গোপন ব্যালটে নেতৃত্ব বাছাইয়ের সুযোগ পেয়ে তৃণমূল নেতাকর্মীরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: