ক্বিন ব্রিজে গানে গানে জ্যোৎস্নাভোগ

‘আজি এমন চাঁদের আলো, মরি যদি সেও ভালো’-ডিএল রায়ের সেই কথার মতোই চাঁদের আলোতে মিলিত হয়েছিলেন সকলেই। রাত ১০ টা থেকে শুরু হওয়া এই গানাড্ডা চলে গভীর রাত পর্যন্ত। সোমবার (৬ অক্টোবর) ‘গানে গানে জ্যোস্নাভোগ’- এই অনুষ্ঠানে মিলিত হয়েছিলেন সিলেটের কবি, সাহিত্যকর্মী, শিল্পী, সংগঠক, সংস্কৃতিকর্মী, আইনজীবী,পরিবেশকর্মী এমনকি সিলেটে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকবৃন্দও।
নগরীর ক্বিন ব্রিজ সংলগ্ন সুরমা নদীর পাড়ে এই অনুষ্ঠান জ্যোস্নাপ্রেমীদের সমাগমে পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। অড্ডায় না ছিল কোনো অতিথি, না ছিল সারি সারি চেয়ার। সকলের স্বতস্ফূর্ত অংশগ্রহণ অনুষ্ঠানে এক ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। সংস্কৃতিকর্মী বিমান তালুকদার ও সাংবাদিক দেবব্রত রায় দিপনের উদ্যোগে জ্যোৎস্নাভোগ অনুষ্ঠান শুরু হয় মুর্শিদ বন্দনা দিয়ে। আর শেষ হয় প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের ‘আমি বাংলার গান গাই, আমি বাংলায় গান গাই’ দিয়ে। মাটিতে আসন করে বসেই গান চলে গভীর রাত পর্যন্ত।
জ্যোৎস্নাযাপন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সম্মিলিত নাট্য পরিষদ সিলেটের প্রধান পরিচালক শামসুল বাছিত শেরো,সাবেক সহ সভাপতি খো্য়াজ রহিম সবুজ, সময়পাঠ সম্পাদক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ মনির হেলাল, নাট্যসংগঠক ও আইনজীবী অরূপ শ্যাম বাপ্পি, নাট্যকর্মী প্রলয় দে, উন্নয়নকর্মী আজিজুর রহমান,শিক্ষাব্রতী সুরঞ্জিত তালুকদার, আইনজীবী মোহাম্মদ মনির উদ্দিন, কবি রাজেশ কান্তি দাশ, সংস্কৃতিকর্মী,শিব্বির আহমদ, সিলেট ফটোগ্রাফি সোসাইটির সাবেক সম্পাদক বাপ্পি ত্রিবেদী, বাউল শিতন বাবু, সঙ্গীত শিল্পী সন্দিপন শুভ, সংস্কৃতিকর্মী শ্রমিক সন্দিপ, কবি রোদ্দুর রিফাত, যুবমৈত্রীর সাবেক সিলেট জেলা সভাপতি আবদুল্লাহ খোকন, গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল সিলেট জেলা আহবায়ক তানজিনা বেগম,আবির খান,মেহেদি হাসান,শিল্পী ঝলক চৌধুরী, শিল্পী অর্নব রায়,সংগঠক আবদুল মালিক ও শফিউল।
সংবাদকর্মীদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ইমজা’র সাবেক সভাপতি বাপ্পা ঘোষ চৌধুরী, খবরের কাগজের স্টাফ রিপোর্টার শাকিলা ববি, স্টাফ ফটোগ্রাফার মামুন হোসেন, এনটিভির আনিস রহমান, প্রথম আলোর স্টাফ ফটোগ্রাফার আনিস মাহমুদ, আনন্দ টিভির সিলেট প্রতিনিধি তাহের আহমদ ও ফটো সাংবাদিক রেজা রুবেল।
সাংস্কৃতিপর্ব শেষে অনেকেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। প্রতিক্রিয়ায় সকলেই সাংস্কৃতিক বন্ধাত্ব সময়ে এমন আয়োজন আরও বেশি করে করার প্রতি সকলেই গুরুত্বারোপ করেন। প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়, সাংস্কৃতিক চর্চা বাধাগ্রস্ত হলে দেশ এগিয়ে যেতে পারে না। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে অবারিত সাংস্কৃতিক চর্চার পথ সুগম করে দিতে হবে। না হলে দেশ চললেও দেশের মানুষ অচলে পরিণত হবে।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: