হাওরাঞ্চলে সবজির বাজারে আগুন, ধুঁকছেন মধ্যবিত্তরাও

স্বস্থি নেই হাওরাঞ্চলের সবজী বাজারে। সকল প্রকার সবজীর দাম ক্রেতাদের নাগালের বাহিরে। বাজারে সবজি ক্রয় করতে আসা ক্রেতাদের সাথে কথা বললে দুর্ভোগের চিত্র এবং দাম নিয়ে হতাশার বিষয়টি উঠে আসে। সবজী বাজারের এই অস্থিরতায় ধুঁকছেন মধ্যবিত্তরাও। বিক্রেতারা বলছেন, স্থানীয় ভাবে সবজী উৎপাদন কম থাকায় জেলা সদর থেকে সবজি কিনে আনতে হয়। সেক্ষেত্রে পরিবহন ব্যয় আগের চেয়ে বেড়ে গেছে দেড় গুন। তাই এর প্রভাব পরেছে সবজির বাজারে।
জানা গেছে, বর্ষা মৌসুমে স্থানীয়ভাবে সবজি উৎপাদন না হওয়ায়, সব কিছুই অন্য এলাকা থেকে নৌপথে আনতে হয়। ফলে সময় বেশি লাগে, অনেক পণ্যে পচন ধরে—তাই ব্যবসায়ীরা পুষিয়ে নিতে বাড়তি দামে বিক্রি করছেন।
কাঁচা মরিচের দাম কিছুটা কমলেও এখনও কেজি প্রতি ২৮০ টাকা যা সাধারণ ক্রেতার নাগালের বাইরে। অন্যদিকে, আলু বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা, পেঁপে ২৫ টাকা কেজি দরে—তবে মুলা ৬০, বেগুন, শসা, পটল, পেঁয়াজ, রসুন, লাউসহ অধিকাংশ সবজির দাম রয়েছে উচ্চমাত্রায়। বেগুন ৮০, শসা ৮০, পেঁয়াজ ৭০, রসুন ১০০ টাকা কেজি, আউশা লাউ- ৫০/ মুখি (কচু) ৩০/,মূলা-৭০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
শ্রীপুর বাজারের কাঁচামাল বিক্রেতা কবির আহমেদ জানান, বাজারে দাম কিছুটা কমেছে ঠিক, তবে যোগাযোগ সমস্যার কারণে অনেক পণ্য পচে যায়। এতে ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমাদেরও বাড়তি দামে বিক্রি করতে হয়।
বাজারের পার্শ্ববর্তী গ্রামের বাবুল আখঞ্জী বলেন, আমরা সবজি দাম কমার আশায় দিন গুনছি, হেমন্ত আসলেই হাওরবাসী এ সুবিধা ভোগ করতে পারবো।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: