অপরূপ রূপে মোড়া সীমান্ত নদী যাদুকাটা
Post Top Ad

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মুগ্ধ পর্যটকরা

অপরূপ রূপে মোড়া সীমান্ত নদী যাদুকাটা

শামছুল আলম আখঞ্জী,তাহিরপুর প্রতিনিধি

০৯/১০/২০২৫ ১৪:১৯:০৩

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা যাদুকাটা নদী যেন প্রকৃতির এক অনন্য সৃষ্টি। সকাল-বিকেল ভিন্ন ভিন্ন রূপে ধরা দেয় এই নদী—পাহাড়ি ঝর্ণার স্বচ্ছ জল গড়িয়ে এসে মিলছে যাদুকাটায়, আর খনিজ বালু-পাথরের ওপর পড়ে রোদের ঝলকানি নদীকে হাসিয়ে তোলে। মনোমুগ্ধকর এই দৃশ্য দেখতে প্রতিদিনই ভিড় করছেন দেশ-বিদেশের অসংখ্য পর্যটক।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসিয়া-জৈন্তা পাহাড় থেকে উৎপত্তি হওয়া এই নদী প্রবাহিত হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে। পরে এটি রক্তি নদীর সঙ্গে মিশে সুরমা নদীতে একাকার হয়ে যায়। স্বচ্ছ জলরাশি, পাহাড়ি প্রাকৃতিক দৃশ্য, খনিজ বালু-পাথরের ঝলকানি—সব মিলিয়ে যাদুকাটা নদী এখন দেশের অন্যতম প্রাকৃতিক পর্যটন গন্তব্যে পরিণত হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, নদীটি শুধু তাদের জীবনের অংশ নয়—এটি পর্যটনের বড় সম্ভাবনাও বয়ে এনেছে। পরিবেশ রক্ষা করে এই সৌন্দর্য ধরে রাখা এখন সময়ের দাবি।

জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যমতে, নদীটির মোট প্রস্থ প্রায় ৬০ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৮ কিলোমিটার। তবে সময়ের সঙ্গে নদীর গভীরতা প্রায় ১০ মিটার কমে গেছে। অপরিকল্পিত বালু ও মাটি উত্তোলন এই নদীর জন্য বড় হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ বিষয়ে তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মেহেদী হাসান মানিক বলেন, “আমি সদ্য এই উপজেলায় দায়িত্ব নিয়েছি। দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যাদুকাটা নদী রক্ষা এবং অবৈধ বালু ও মাটি উত্তোলন বন্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছি। নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য টিকিয়ে রাখতে প্রশাসন বিশেষ কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। পাশাপাশি পর্যটকদের নিরাপত্তা ও সেবার বিষয়েও আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুত রয়েছি।”


প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এই নদীকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পর্যটন শিল্পের প্রসার ঘটছে। পরিবেশবান্ধব পর্যটন কার্যক্রম গড়ে তোলা গেলে এটি হতে পারে দেশের অন্যতম আকর্ষণীয় ইকো-ট্যুরিজম স্পট।

এ রহমান

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad