বর্ষাকালে জেগে উঠে গ্রামীণ প্রকৃতি

আজ ১৭ জুন ২০২৫ খৃষ্টাব্ধ। সময়টা বর্ষাকাল। বর্ষাকালে রাস্তাঘাট গ্রাম শহর বন্দর সবখানেই বৃষ্টিজলে কদাকার হয় চারপাশ। দেশের অনেক স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। প্রবল বর্ষণ আর জোয়ারের পানির নিচে পথঘাট তলিয়ে যায়। পথচারী ও যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে। যানজট সৃষ্টি হয়। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ রাস্তায় চলাফেরা করতে হয়। গ্রামের চেয়ে শহরের অবস্থা বেশি খারাপ হয়। অনেক জায়গায় মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। মশা-মাছির উপদ্রব বেড়ে যায়। মশা ও পানি বাহিত নানা রোগ দেখা দেয়। কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে। বাড়তি পানির চাপে অনেকের পুকুর ও খামারের মাছ চলে যায়। বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সমস্যা দেখা দেয়। শহরের অলিগলি এমনকি গ্রামেও বিভিন্ন কারণে রাস্তা কাটা হয়। অথচ যথাসময়ে তা সংস্কার করা হয় না। এগুলো এক ধরনের অপরাধ। কর্তৃপক্ষ এসব দেখেও যেন দেখে না। এসব বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এতে কিছুটা হলেও রাস্তায় জনদুর্ভোগ কমবে। সাধারণ মানুষ স্বস্তি পাবে।
বর্ষাকালে দেশে বন্যা, জলোচ্ছ্বাস, ঘূর্ণিঝড়সহ নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হয়ে থাকে। এসব দুর্যোগ থেকে রেহাই পেতে সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়ে থাকে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও নানা প্রতিকূলতার সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে থাকে বাঙালি। বর্ষাকালে বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত। এতে প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষা হবে।
সবাই ভালো থাকুন, ডেঙ্গু ও করোনার প্রকোপ থেকে নিজেদের রক্ষা করুন। নিজে সচেতন হয়ে অন্যকেও সচেতন করুন।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: