নিউইয়র্ক সিটিতে বিশাল ব্যবধানে জয়ী প্রথম মুসলিম মেয়র

নিউইয়র্ক সিটি মেয়র নির্বাচনে ঐতিহাসিক বিজয় অর্জন করেছেন ডেমোক্রেটিক পার্টির তরুণ রাজনীতিক ও নিউইয়র্ক স্টেট অ্যাসেম্বলির সদস্য জোহরান মমদানি। একাধারে তিনি নিউইয়র্ক শহরের ইতিহাসে প্রথম মুসলিম এবং বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত নেতা যিনি এ গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচিত হলেন।
নির্বাচনে দুই লাখেরও বেশি ভোট পেয়ে তিনি তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী সাবেক গভর্নর অ্যান্ড্রু কুওমোকে বিপুল ব্যবধানে পরাজিত করেন। নিউইয়র্ক সিটি নির্বাচনী বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, ভোটারদের উল্লেখযোগ্য অংশ এককভাবে মমদানিকেই সমর্থন দিয়েছেন।
মঙ্গলবার রাতে বিজয় ভাষণে জোহরান মমদানি বলেন,“আজ আমরা ইতিহাস সৃষ্টি করেছি। নেলসন ম্যান্ডেলার কথায়— সবকিছু অসম্ভব মনে হয়, যতক্ষণ না তা সম্পন্ন হয়। আমরা সেটা করে দেখিয়েছি।”
নির্বাচনী প্রচারণা পর্বে নিউইয়র্কের রাস্তাঘাট, দোকানপাট, বিলবোর্ড ও সামাজিক মাধ্যমে মমদানির পোস্টার ও ভিডিও ছেয়ে যায়। বিশেষ করে তরুণ ভোটারদের মধ্যে ছিল ব্যাপক উৎসাহ। অনেকেই বলছেন, “শহরটা যেন নতুন করে জেগে উঠেছে। এটি এক বিদ্যুৎ-সঞ্চারী অভিজ্ঞতা।” প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুওমো নির্বাচনের পরাজয় মেনে নিয়ে মমদানিকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন,
“আজকের রাতটি তার। সে জিতেছে, এবং তার নেতৃত্বে শহর এগিয়ে যাবে।”
মুসলিম কমিউনিটিতে উৎসবের আবহ:
মমদানির বিজয়কে ঘিরে আমেরিকান মুসলিম কমিউনিটিতে আনন্দের বন্যা বয়ে গেছে। আমেরিকান মুসলিম সোসাইটি এক বিবৃতিতে জানায়, “এ বিজয় শুধু একজন মুসলিমের নয়, বরং এটি একটি বহুসাংস্কৃতিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দৃষ্টিতে:
Associated Press (AP) এক প্রতিবেদনে জানায়, এ নির্বাচন কেবল একটি মেয়র নির্বাচন নয়; এটি ভবিষ্যৎ ডেমোক্রেটিক পার্টির রাজনৈতিক দিকনির্দেশনাও স্পষ্ট করছে। নিউইয়র্কের আগের তিনজন মেয়র প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রাথমিক পর্বে অংশ নিয়েছিলেন, তাই মমদানির বিজয় ভবিষ্যতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিতবাহী।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: