শ্রীলঙ্কাকে ৪ উইকেটে হারিয়ে সুপার ফোর শুরু বাংলাদেশের

ব্যাট হাতে উড়ন্ত সূচনায় শুরু করে বাংলাদেশকে চমক দেখান সাইফ হাসান। শেষ পর্যন্ত দীর্ঘদিন ধরে রান খুঁজে পাওয়া তাওহিদ হৃদয় মাঠে নামার পর দলের মুখে হাসি ফোটান। এই দুই তরুণের ব্যাটে বাংলাদেশের সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারানো সম্ভব হয়। এ জয় দিয়ে লিটন দাসের দল মধুর প্রতিশোধও নেন ফিল সিমন্সের দল থেকে।
শেষ ওভারে দ্রুত উইকেট হারিয়ে খেই হারানোর পরিস্থিতি তৈরি হলেও বাংলাদেশ ভাঙেনি। জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে লিটন দাসের দল এবং সুপার ফোরে স্থান নিশ্চিত করে।
বাংলাদেশের রান তাড়া
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৮ রান সংগ্রহ করে। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ১ রানে তানজিদ তামিমকে হারিয়ে ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। তবে এই ধাক্কা সামলান সাইফ হাসান ও লিটন দাস। দুজনের ৩৪ বলে ৫৯ রানের জুটি বাংলাদেশের জয়ের গল্পের ভিত্তি স্থাপন করে।
মাঝে ১৬ বলে ২৩ রান করে ফেরেন লিটন। অধিনায়ক ফিরলেও ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি হাফসেঞ্চুরি পূর্ণ করেন সাইফ হাসান। ৪৫ বলে চার ছক্কা ও দুই চারে সাজানো তার ইনিংসে তিনি ৬১ রান করে বিদায় নেন।
লিটন ফেরার পর মিডল অর্ডারে নেমে ফিনিশিং টানেন তাওহিদ হৃদয়। সমালোচনা ও দীর্ঘ সময় রানহীনতা উপেক্ষা করে তিনি ৩১ বলে ৫৮ রান করেন, যার মধ্যে দুই ছক্কা ও চারটি চার। হৃদয়ের ইনিংসে দল ১ বল হাতে রেখে ১৬৯ রান সংগ্রহ করে জিতে নেয়।
শ্রীলঙ্কার ইনিংস
শুরুতে টস জিতেও সুবিধা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। প্রথম ওভারে শরিফুল ইসলামকে ছক্কা হাঁকিয়ে শুরু করেন পাথুম নিশানকা। প্রথম দুই ওভারে তার ২৩ রানের সঙ্গে দলীয় ২৩ রানে পৌঁছায় শ্রীলঙ্কা।
পঞ্চম ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে নিশানকা টাইমিং গড়বড় করে ১৫ বলে ২২ রানে আউট হন। অন্য প্রান্তে কুশল মেন্ডিস ঝড়ো খেলে যান, কিন্তু অষ্টম ওভারে শেখ মেহেদি হাসান তার উইকেট নেন। ডিপ স্কয়ার লেগে সাইফ হাসানের হাতে ক্যাচ হয়ে ৩৫ রানে আউট হন মেন্ডিস।
পরের ওভারে মেহেদি কামিল মিশারার উইকেট নেন। দ্রুত তিন উইকেট হারানোর পরও দাসুন শানাকা ও কুশাল পেরেরা জুটি গড়ে বিপদ সামলান। শানাকা ৩০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন এবং শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৬৪ রান করে ইনিংস শেষ করেন। আসালাঙ্কা ১২ বলে ২১ রান করে রানআউট হন।
বাংলাদেশের বোলিং
মুস্তাফিজুর রহমান ২০ রান খরচায় সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। ২৫ রান খরচায় দুটি উইকেট পান মেহেদি হাসান। তাসকিন আহমেদ নেন ১ উইকেট।
তাহির আহমদ

মন্তব্য করুন: