জামায়াত প্রার্থী তোফায়েল আহমদ খান
রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা ছাড়া টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়

রাজনীতিতে ইতিবাচক ধারা প্রতিষ্ঠা করতে না পারলে সমাজে টেকসই উন্নয়ন কখনোই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন সুনামগঞ্জ-১ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য ও জেলা আমীর উপাধ্যক্ষ মাওলানা তোফায়েল আহমদ খান।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তাহিরপুর উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এ প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। উপজেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য সফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্থানীয় ও জাতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে তোফায়েল আহমদ খান বলেন, “মানুষের মৌলিক অধিকার রক্ষা আমাদের প্রথম অঙ্গীকার। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ও ন্যায়ের অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই একটি ন্যায়ভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। সেই সমাজ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে আমরা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”
তিনি আরও বলেন, “হাওরাঞ্চলের জনগণ যুগের পর যুগ শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, যাতায়াত ও কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অবহেলিত। আমরা এ অঞ্চলের উন্নয়নে সুস্পষ্ট পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। এর মধ্যে রয়েছে আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থার প্রসার, স্বাস্থ্যসেবার সহজলভ্যতা, সড়ক ও যোগাযোগ অবকাঠামোর উন্নয়ন এবং কৃষি ও মৎস্যসম্পদের টেকসই সুরক্ষা।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জামায়াত প্রার্থী জানান, “আমি নির্বাচিত হই বা না হই, এলাকার উন্নয়নে দলমত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে কাজ চালিয়ে যাব। আইন সবার জন্য সমান—আমার দলের কেউ অপরাধ করলে তাকেও বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।”
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যাপক মু. আব্দুল্লাহ এবং উপজেলা কর্মপরিষদ সদস্য সালেহ আহমেদ। বক্তারা বলেন, জনগণের অধিকার রক্ষা ও হাওরবাসীর আর্তনাদ শোনার মতো নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। জামায়াতে ইসলামী সেই দায়িত্ব পালনে সবসময় অগ্রণী ভূমিকা রেখে আসছে।
মতবিনিময় সভায় জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন—দৈনিক আমার দেশ’র বাবরুল হাসান বাবলু, দৈনিক মানবকণ্ঠ’র নরেন্দ্র নারায়ণ বৈশাখ, দৈনিক সংবাদ’র কামাল হোসেন, দৈনিক কালবেলা’র শওকত হাসান, দৈনিক ভোরের ডাক’র শামছুল আলম আখঞ্জী, আমাদের সময়’র জাহাঙ্গীর আলম, দৈনিক জনকণ্ঠ’র জেলা প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, সাংবাদিক আবুল কাশেম এবং প্রতিদিনের বাংলাদেশ’র মনিরাজ শাহসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার অন্যান্য সাংবাদিকরা।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: