হবিগঞ্জে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

হবিগঞ্জে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ৪ দালালকে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) দিনভর জেলা শহরের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। নির্যাতিত গৃহবধূ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশৈংকল উপজেলার মহলবাড়ি গ্রামের মুজিবুর রহমান মেয়ে। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম সাহাব উদ্দিন শাহীন।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শহরের মোহনপুর এলাকার শুক্কুর মিয়ার ছেলে শাকিল মিয়া (৩৫), দুর্লভপুর গ্রামের রাজু মিয়ার ঢ়েলে জাফর আলী (৪৫), সুলতান মাহমুদপুর গ্রামের ছাবেদ আলীর ছেলে জাবেদ মিয়া (৩০) ও লোকড়া গ্রামের সহিদ মিয়ার ছেলে আবুল কাশেম (৩৫)।
গৃহবধূর বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ফেসবুকে শাকিল মিয়ার সাথে তার পরিচয় হয়। এ সুযোগে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। এক পর্যায়ে শাকিল মিয়া তাকে ইতালি পাঠানোর প্রলোভন দেয়। সে তার স্বামীকে না জানিয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা ক্যানন্টমেন্ট এলাকার স্বামীর বাসা থেকে বাসযোগে শায়েস্তাগঞ্জ নতুন ব্রিজ আসে।
সেখান থেকে দুপুরে ৪ দালাল তাকে হবিগঞ্জ পাসপোর্ট অফিসে নিয়ে আসে এবং ছবি, আইডি নিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদনপত্র তৈরি করে। পরে তারা জানায়, অফিস বন্ধ হয়ে গেছে আগামীকাল জমা দিবে।
সন্ধ্যা হয়ে গেলে দালালরা মোহনপুরে শাকিলের বাসায় তাকে নিয়ে যায়। সেখান থেকে রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের এক পরিত্যক্ত বাড়ি নিয়ে যায় এবং অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ৪ জন ধর্ষণ করে। ভোরে তাকে দুর্লভপুরের রাস্তায় রেখে পালিয়ে যায় তারা।
সকালে কয়েকজন পথচারী তাকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকার একটি দোকানে রেখে যায়। পরে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
সদর থানার ওসি একেএম শাহাব উদ্দিন শাহীন জানান- গৃহবধূর জবানবন্দি শুনে মামলা রুজু করে কোর্ট স্টেশন ফাঁড়ির ইনচার্জ মফিজুর রহমানকে দায়িত্ব দেওয়া হয।
দিনভর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪ দালালকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। তারা একটি সংবদ্ধ দালাল চক্র। এছাড়া অসুস্থ ওই নারী বর্তমানে পুলিশ হেফাজতে আছেন। তার পরিবারকে খবর দেওয়া হয়েছে। ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে অধিকতর জবানবন্দি শেষে পরিবারের জিম্মায় দেয়া হবে। আসামিদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: