মাধবপুরে হাওয়া হয়ে গেল ‘নিশান’

‘নিশান’ এখন সম্ভবত ঈশান কোনে। কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না গ্রাহকরা। গ্রাহকদের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে লাপাত্তা হওয়া এই নিশান একটি এনজিও সংস্থার নাম। তাদের ঘাঁটি ছিল হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার তেলিয়াপাড়ায়। সেখান থেকেই এনজিওটি গ্রাহকদের বোকা বানিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের আমানত নিয়ে কার্যক্রম চালিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা হঠাৎ করে আত্মগোপনে চলে যাওয়ার পর নতুন করে একটি মহল প্রতিষ্ঠানটির স্থাবর–অস্থাবর সম্পত্তি বিক্রির পাঁয়তারা করছে বলে জানা গেছে।
পরিবেশ, স্বাস্থ্য ও উন্নয়ন সোসাইটি নামের এই এনজিওর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তবে জানা গেছে,এনজিওটির তেলিয়াপাড়া শাখা কার্যালয় এখন প্রায় অচল অবস্থায়। ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, প্রশাসনের বিশেষ নজরদারি ছাড়া যেন কোনোভাবেই এনজিওটির সম্পত্তি বিক্রি বা হস্তান্তর করা না যায়। তারা দাবি করেছেন, প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ গ্রাহকদের শেষ আশাটুকুও শেষ হয়ে যাবে।
স্থানীয় ভুক্তভোগী বিল্লাল মিয়া বলেন, “আমার শেষ সম্বল জমি বিক্রি করে মুনাফার আশায় ওই এনজিওতে টাকা জমা রেখেছিলাম। এখন নিঃস্ব হয়ে গেছি।”
অপর আরেক ভুক্তভোগী ফুরুক মিয়া কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, “পায়ের ঘাম মাটিতে ফেলে সামান্য টাকা উপার্জন করি। সেই টাকা দিয়ে ডিপিএস করেছিলাম। তারা সব টাকা নিয়ে উধাও হয়ে গেছে।”
এ বিষয়ে উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মো. ইসমাইল তালুকদার বলেন, “আমরা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি। ইতোমধ্যে প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।”
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জায়েদ বিন কাশেম বলেন, “এ বিষয়ে মামলা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভুক্তভোগীদের স্বার্থ রক্ষায় প্রশাসন সর্বোচ্চ পদক্ষেপ নেবে।”
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিষ্ঠানটির নাম পরিবর্তন করে বা গোপনে সম্পত্তি রেজিস্ট্রির চেষ্টা চলছে। এ অবস্থায় ক্ষতিগ্রস্ত গ্রাহকরা জেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ রহমান

মন্তব্য করুন: