বর্ষার কাদাজলে বাঙালির প্রাণ
Post Top Ad

বর্ষার কাদাজলে বাঙালির প্রাণ

প্রথম ডেস্ক

১৬/০৬/২০২৫ ০৭:২৬:৩৬

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

আজ সোমবার ১৬ জুন ২০২৫ খৃষ্টাব্ধ। সিলেটে আজ বর্ষণমূখর সূর্যেোদয়।  আর আববহমান বাংলার সমৃদ্ধ এই বর্ষা। আমাদের জীবনযাত্রার পথে বর্ষার স্নিগ্ধ পরশ প্রাণ জুড়িয়ে দেয়। বর্ষার রূপ-রস আর সৌন্দর্যে প্রকৃতি সজীব হয়ে ওঠে। বৃষ্টি ধোয়া প্রকৃতির রূপে মন মেতে ওঠে। বর্ষার রিমঝিম শব্দে মন হয়ে ওঠে কাব্যময়। প্রচণ্ড তাপদাহকে বিদায় জানিয়ে বর্ষা রানীর বর্ষণে সিক্ত হয় প্রকৃতি এবং প্রাণ ফিরে পায়। বয়ে যায় শীতল বাতাস। নেমে আসে প্রশান্তি। বর্ষা মৌসুমে মনোরম দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায়, মন ভরে যায়।


শহর কিংবা গ্রামে বৃষ্টি ভেজা পথে পিচ্ছিল খেয়ে পড়েনি বা বৃষ্টির পানিতে ভিজেনি এমন লোকের সংখ্যা খুব কম। বাঙালির অতি প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল। বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ আর আকাশের বুকে ভেসে বেড়ানো মেঘের ভেলা মন কেড়ে নেয়। অবারিত মাঠ, মেঘলা আকাশ, টলমলে জলের পুকুর, মাটির সোঁদা গন্ধ, ভেজা সবুজ ঘাস আর পাতার হাসি দেখতে ভাল লাগে। শাপলা, পদ্ম, কদম কেয়া আরও কত রং-বেরঙের ফুল-ফসলের হাসিতে জেগে ওঠে বাংলার প্রতিটি জনপদ। বর্ষার থইথই জলে শৈল, বোয়াল, কই, সিং, জাগুর ইত্যাদি নানা প্রজাতির মাছ পাওয়া যায়। আসমানে গুড়ুম গুড়ুম ডাক দিলে সাগর-নদী থেকে এসব মাছ খাল, বিল, পুকুর ও জলাশয়ে উঠে আসে। বর্ষাকালে টাটকা মাছের স্বাদ-ই আলাদা।


আষাঢ়-শ্রাবন এই দুই মাস বর্ষাকাল হলেও বছরের বেশিরভাগ সময় জুড়ে থাকে বর্ষাকাল। বাঙালির অতি প্রিয় ঋতু বর্ষাকাল। বাংলা সাহিত্যে বর্ষা ঋতুর বেশ প্রভাব পড়েছে। বর্ষার কাদাজলে মিশে আছে বাঙালির প্রাণ। বাইরে ঝড় বয়, অথচ জানালার পাশে বসে দাদা-দাদীর কাছে গল্প শুনে বেশ আনন্দ উপভোগ করে কচিকাঁচার দল। বর্ষায় প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের লীলাভূমি আমাদের বাংলাদেশ।

নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad