শ্রীমঙ্গলের ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাতের সন্ধান
Post Top Ad

শ্রীমঙ্গলের ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাতের সন্ধান

নিজস্ব প্রতিনিধি, শ্রীমঙ্গল

১৯/০৮/২০২৫ ১৯:৩৮:০৬

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তবর্তী নাহার চা-বাগানের পাশের পুঞ্জি এলাকার গভীর পাহাড়ি অরণ্যে আবিষ্কৃত হয়েছে ৩০টিরও বেশি প্রাচীন গিরিখাত। স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, এসব গিরিখাতের দৈর্ঘ্য কোনোটি এক কিলোমিটার আবার কোনোটি কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত।


স্থানীয় আদিবাসীরা গিরিখাতগুলোর নাম দিয়েছেন লাসুবন, ক্রেম উল্কা, ক্রেম কেরি ইত্যাদি। লাসুবন নামের অর্থ হলো পাহাড়ি ফুল। এসব নামকরণ হয়েছে স্থানীয় ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর ভাষা, আশপাশের গাছপালা, ফুল-ফল এবং ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে। শুধু গিরিখাতই নয়, এখানকার চারপাশে রয়েছে গভীর গুহা, ছোট ছোট জলপ্রপাত, পাহাড়ি ঝরর্ণা এবং শিলা গঠন, যা মিলিয়ে এই অঞ্চলকে দিয়েছে এক রহস্যময় ও মনোমুগ্ধকর রূপ।


আবিষ্কারের ইতিহাস

শ্রীমঙ্গলের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী বিষয়ক উপজেলা সমন্বয়কারী তাজুল ইসলাম জাবেদ জানান, ২০০০ সালে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জীবনযাত্রা নিয়ে কাজ করার সময় তিনি প্রথম এই গিরিখাতগুলো আবিষ্কার করেন। ওই সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম ও দুই একজন গণমাধ্যম কর্মী এলাকাটি পরিদর্শন করেন।

তবে দুর্গম পথ এবং জনসমাগমের অভাবে এই স্থান দীর্ঘদিন মানুষের নজরের বাইরে রাখা হয়েছিল। এবং ওই সময় করোনা মহামারির কারণে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকায় এ নিয়ে কোনো পর্যটন আকর্ষণে উদ্যোগও নেওয়া যায়নি।


স্থানীয়রা দীর্ঘদিন ধরে এই গিরিখাতগুলোর অস্তিত্ব জানলেও এর প্রাকৃতিক ও পর্যটন সম্ভাবনা সম্পর্কে সচেতন ছিলেন না। অনেকের ধারণা, এসব গিরিখাত ভূতাত্ত্বিকভাবে হাজার বছরের প্রাকৃতিক ক্ষয়প্রক্রিয়ার ফল।

নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad