অনিয়ম,দুর্নীতি আর রাজনীতির ছোবল
মৌলভীবাজারে ধ্বংসের পথে দি ফ্লাওয়ার্স কেজি স্কুল

মৌলভীবাজারে একটি প্রতিষ্ঠিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ‘দি ফ্লাওয়ারস কেজি এন্ড হাই স্কুল’। প্রতিষ্ঠা পরবর্তী গৌরব আর ঐতিহ্যের তিনযুগ অতিক্রম করেও প্রতিষ্ঠানটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। রাজনীতিকরণ, অনিয়ম আর দুর্ণীতি এখন প্রতিষ্ঠানটির নিত্যসঙ্গী। ফলে স্কুলটি মাধ্যমিক পরীক্ষায় ফলাফলের দিক থেকে জেলার অন্যতম বিদ্যাপীট হয়েও এখন তা আর ধরে রাখা যাচ্ছে না। এতে করে শিক্ষার্থীদের সোনালী ভবিষ্যত নিয়ে দেখা দিয়ে শঙ্কা। অভিভাবকরা রয়েছেন চরম দুশ্চিন্তায়।
মৌলভীবাজার জেলা শহরের একমাত্র ইংলিশ-বাংলা ভার্সন স্কুল হিসেবে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এই বিদ্যাপীঠ। কিন্তু বর্তমানে রাজনৈতিক দখলদারিত্ব, ভর্তিবাণিজ্য, তহবিল তসরুপ ও শিক্ষকদের বৈষম্যমূলক আচরণের কারণে ধ্বংসের মুখে। অভিযোগ রয়েছে- ২০১৬ সাল থেকে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও সহকারী লোকমান আহমেদের দায়িত্বকালে স্কুলটি ছিল যুবলীগের আড্ডাখানা। এরফলে গত এসএসসিতে ১৬ জন ফেল করার ঘটনা গোটা শহরে আলোচিত হলেও নেয়া হয়নি কোনো কার্যকর পদক্ষেপ।
প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সরকারি বেতনের পাশাপাশি স্কুল থেকেও মাসে ৪০ হাজার টাকা ভাতা নিচ্ছেন। বিদ্যালয়ের তহবিল তসরুপ ও অডিট রিপোর্ট নিয়ে রয়েছে কারচুপির অভিযোগ। তাছাড়া অভিযোগ রয়েছে ম্যানেজিং কমিটি ও ক্যাম্পাস যুবলীগের অফিসে রূপান্তর। পছন্দের দলীয় নেতাদের বখাটে সন্তানদের টাকার বিনিময়ে ভর্তি । ২০০৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত সরকারি বোর্ড পরীক্ষায় টপ র্যাংকিং অর্জনকারী স্কুলটি এখন জেলার সর্বনিম্ন ফলাফলের প্রতিষ্ঠান। শিক্ষকদের অনৈক্য, প্রাইভেট কোচিং নির্ভরতা ও প্রশ্নফাঁসের সংস্কৃতি চালু রয়েছে বিদ্যালয়ে। অভিভাবকদের অভিযোগ-শিক্ষকরা ইচ্ছাকৃতভাবে কম মার্ক দেন, তবে পরিচয় গোপন রাখতে অনুরোধ করেন।
অভিভাবকরা বলছেন, অবিলম্বে প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম ও সহকারী লোকমান আহমেদের অপসারণ করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে দুর্নীতি তদন্ত ও তহবিলের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের নিয়ে গঠন করতে হবে নতুন ম্যানেজিং কমিটি এবং নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে শ্রেণীকক্ষের কার্যক্রম।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: