জেড স্পেন্স > ইংল্যান্ড জাতীয় দলের প্রথম মুসলিম ফুটবলার
Post Top Ad

জেড স্পেন্স > ইংল্যান্ড জাতীয় দলের প্রথম মুসলিম ফুটবলার

প্রথম ডেস্ক

০৪/০৯/২০২৫ ১৩:৪০:২১

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

টটেনহ্যামের ফুল-ব্যাক জেড স্পেন্স ইংল্যান্ডের সিনিয়র দলে ডাক পেয়েছেন। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে তিনি হতে পারেন ইংল্যান্ড পুরুষ দলের প্রথম মুসলিম খেলোয়াড়। নিজের এই যাত্রা দিয়ে নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করার আশা প্রকাশ করেছেন ২৫ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার।


স্পেন্স এর আগে ইংল্যান্ড অনূর্ধ্ব-২১ দলে ছয় ম্যাচ খেলেছেন। এবার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে অ্যান্ডোরা ও সার্বিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য প্রথমবারের মতো সিনিয়র দলে জায়গা পেয়েছেন তিনি।


মিডলসবারো থেকে টটেনহ্যামে যোগ দেওয়ার পর স্পেন্সকে টানা তিনবার ধারে পাঠানো হয়েছিল— ফ্রান্সের রেন, ইংল্যান্ডের লিডস ও ইতালির জেনোয়া ক্লাবে। তবে গত মৌসুমে স্পার্সের প্রথম দলে নিজেকে প্রমাণ করার পর ভাগ্য বদলে যায় তার।


যদিও ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন (এফএ) খেলোয়াড়দের ধর্মীয় পরিচয় আনুষ্ঠানিকভাবে সংরক্ষণ করে না, তবে ধারণা করা হচ্ছে— স্পেন্সই হতে যাচ্ছেন ইংল্যান্ডের জার্সি গায়ে নাম লেখানো প্রথম মুসলিম ফুটবলার।


এ বিষয়ে তিনি বলেন, “এটা এক আশীর্বাদ। আসলে ভাষায় প্রকাশ করা কঠিন। আমি অনেক প্রার্থনা করি, আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। জীবনের সবচেয়ে কঠিন সময়গুলোতেও আমি বিশ্বাস করেছি, আল্লাহ সবসময় আমার পাশে ছিলেন। আমার জন্য বিশ্বাসই সবচেয়ে বড় শক্তি।”


আগামী শনিবার ভিলা পার্কে অ্যান্ডোরার বিপক্ষে নামবে ইংল্যান্ড, এরপর মঙ্গলবার বেলগ্রেডে মুখোমুখি হবে সার্বিয়ার।


নিজের ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে অতিরিক্ত চাপ অনুভব করেন না বলে জানান স্পেন্স। তিনি বলেন, “আমি কোনো কিছুর জন্য আলাদা চাপ অনুভব করি না। আমি শুধু হাসিমুখে খেলি, আনন্দ নেই, বাকিটা নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়।”


সবশেষে তিনি যোগ করেন, “যদি আমি পারি, তাহলে আপনিও পারবেন। শুধু মুসলিম শিশু নয়, যেকোনো ধর্ম বা বিশ্বাসের শিশুদের জন্যই বার্তাটা একই— মন থেকে চেষ্টা করুন, একাগ্রতা রাখুন, সফলতা আসবেই।”

মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad