পথশিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ : জরিপ
Post Top Ad

পথশিশুদের ৫৮ শতাংশেরই নেই জন্মসনদ : জরিপ

প্রথম ডেস্ক

১৭/০৬/২০২৫ ০৩:৩৭:২৮

প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করবেন না: ফাইজ তাইয়েব আহমেদ

দেশের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর প্রায় ৯১ শতাংশ সরকারি সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে রয়েছেন। এই জনগোষ্ঠী চরম দারিদ্র্যের মধ্যে দিনযাপন করছেন এবং জীবিকার তাগিদে তাদের শিশুদের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিযুক্ত করছেন। এছাড়া সরকার দেশের সুবিধাবঞ্চিত ও পথশিশুদের জন্য হাতেগোনা কয়েকটি কর্মসূচি গ্রহণ করলেও পথশিশুদেরও প্রায় ৯৪ শতাংশ সরকারের কোনো রকমের সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছেন না। পথে বেড়ে উঠা শিশুদের ৫৮ শতাংশেরই জন্মসনদ নেই, যার ফলে তারা শিক্ষার অধিকারসহ সরকার বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছেন বলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কারিতাস বাংলাদেশের এক জরিপে উঠে এসেছে।


কারিতাস বাংলাদেশের অ্যাডভোকেসি অফিসার রবিউল আলম জরিপের ফলাফল তুলে ধরে বলেন, জরিপে অংশগ্রহণকারী পথশিশুদের ৫৮.২ শতাংশ (৩৮৮ জন) শিশুর জন্মসনদ নেই। জন্মসনদ না থাকা এসব শিশুর ৭১.৪ শতাংশ নিজের পিতা-মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) নম্বর জানে না। যার ফলে জন্ম নিবন্ধন করতে তারা নানা সমস্যার মধ্যে পড়ছেন।


জরিপের পথশিশুদের শিক্ষার বিষয়েও হতাশাজনক চিত্র উঠে আসে। জরিপে অংশ নেওয়া মোট শিশুর মধ্যে ৫১.৬ শতাংশ বর্তমানে স্কুল/মাদরাসায় পড়ছে না। সরকারে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অংশগ্রহণকারী শিশুর সংখ্যা মাত্র ৫.৭ শতাংশ (৩৮-জন); বাকি প্রায় ৯৪.৩ শতাংশ পথশিশু সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর বাইরে।


মঙ্গলবার (১৭ জুন) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে কারিতাস বাংলাদেশ আয়োজিত মিডিয়া পরামর্শ সভায় জরিপের ফলাফল তুলে ধরা হয়। ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী শহরের ৬৬৭ জন পথশিশু ও বস্তি এলাকায় বসবাসরত ১ হাজার ২৪৬টি পরিবারের ওপর জরিপ পরিচালিত হয়।


সমীক্ষায় অংশ নেওয়া বস্তি এলাকায় বসবাসরত ১ হাজার ২৪৬টি পরিবারের মধ্যে ৯২.৭ শতাংশ পরিবার নিম্নবিত্ত শ্রেণির (১২,৫০০ টাকার নিচে আয়), এসব পরিবারের ৯১.৭ শতাংশ কোনো সরকারি সুরক্ষা সুবিধা পায়নি। এসব পরিবারের মধ্যে ৩৮.১ শতাংশে পথশিশু হয়ে যায়। বস্তি এলাকায় বসবাসরত ৪৪.৪ শতাংশ পরিবারের সব শিশুর জন্মসনদ থাকলেও ৩২.৯ শতাংশ পরিবারের কোনো শিশুরই জন্মসনদ নেই বলে জরিপে উঠে আসে।


সভায় পথশিশুদের প্রতিনিধিরা তারা নিজেদের জীবনের বাস্তব অভিজ্ঞতা ও প্রতিদিনের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেন।


মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন:

Post Bottom Ad
Sidebar Top Ad
Sidebar Botttom Ad