বঙ্গিভটার স্মৃতি : দ্বিতীয় নবদ্বীপ বিয়ানীবাজারের পঞ্চখণ্ড

দেশের বাড়ি বৃহত্তর সিলেটের বিয়ানীবাজারের স্মৃতি বলতে ১৯৩৫ সালে তোলা এই পারিবারিক ছবিটি একমাত্র সম্বল.......
একজন মানুষের জীবনে তার শেকড় কতটা মূল্যবান সেই গল্প শুনে বড় হয়েছি কিন্তু শেকড় দেখার সৌভাগ্য আমার হয়নি।আমাদের বাড়ি ছিল আজকের বাংলাদেশের বৃহত্তর সিলেটের মৌলভীবাজার জেলার পঞ্চখন্ড পরগণার যা বর্তমান বিয়ানী বাজারের নয়াগ্রাম গ্রামে।বিয়ানীবাজার থেকে পাঁচ মিনিটের পথ খুব নামকরা বাড়ি ছিল।
যতদূর জেনেছি পঞ্চখন্ড নামটি নাকি আর নেই।অতীত ইতিহাস বলে পঞ্চখন্ড পরগণা ত্রিপুরার রাজা আমাদের পরিবার সহ ৬৪২ সালে একটি গোটা পরগণা পাঁচ গোত্রকে দান করেছিলেন,এই পাঁচ গোত্রকে আনানো হয়েছিল মিথিলা থেকে যজ্ঞ করার জন্য। তারপর তারা সেখানে বসতি গড়েন।তখন সেখানে জঙ্গল, কুকি ট্রাইবদের বাস ছিলো। রাজাই সব তৈরী করে দেন।
একটি টিলার ওপর ছিল আমাদের বাড়ি টি। বাড়ি টিকে মাশয়ের বাড়ি বলা হত আমার ঠাকুরদার নাম ছিল শ্রীযুক্ত রামকিশোর ভট্টাচার্য, জ্যেঠামশাইয়ের নাম রামরঞ্জন স্মৃতিতীর্থ।আমার বাবা শ্রীযুক্ত রণধীর ভট্টাচার্য ১৯৪২ সালে আসামে চলে আসেন।তবে জ্যেঠামশাই ১৯৬৪ সালে ভারতে আসেন। আমাদের গ্রামের জমিদার পরিবার ছিলেন প্রমথকুমার দাশ,সুমথ কুমার দাশ।
শুনেছি পঞ্চখন্ড ছিল দ্বিতীয় নবদ্বীপ।সেইজন্যই সিলেট বিদ্যা শিক্ষায় অগ্রণী।তৎকালীন পূর্ববাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের দেশের বাড়ি নিয়ে এসব ইতিহাস ঐতিহ্যের গল্প যখন শুনি তখন মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে ওপার বাংলার সেই বিয়ানীবাজারে পিতৃপুরুষের জন্মভূমি দেখবার।
দেশের বাড়িটি আদৌ আছে কি না জানিনা।শুনেছি টিলাগুলো কেটে ফেলা হয়েছে।
লেখক
নন্দিতা ভট্টাচার্য
কোলকাতা।
হোয়াটসঅ্যাপ
+91 98305 39876
নীরব চাকলাদার

মন্তব্য করুন: