কীর্তিমান বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী সিলেটের ড.করিম

শুভ সকাল। আজ ৭ জুলাই সোমবার ২০২৫। দিনের শুরুটা ভালো কাটুক সকলের। আজ এই শুভ সকালে আমরা স্মরণ করতে চাই সিলেটের এক কীর্তিমান বিজ্ঞানীকে। মফস্বল থেকে বেড়ে উঠা একজন মানুষ কিভাবে দেশসেরা পদার্থ বিজ্ঞানী এবং তিনি কে, তাঁর বিস্তারিত তোলে ধরছি আজকের লোখায়।
ড. মো. আতাউল করিম। জন্মেছিলেন মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার গ্রামতলা গ্রামে। ১৯৫৩ সালের ৪ মে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মোহাম্মদ আবদুস শুকুর যিনি পেশায় চিকিৎসক ছিলেন। ড. মো. আতাউল করিম একজন বাংলাদেশি-মার্কিন পদার্থবিজ্ঞানী। বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসে অবস্থায়ী ডার্টমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রোভোস্ট এবং নির্বাহী উপাচার্য। এছাড়া তিনি বৈদ্যুতিক ও বৈদ্যুতিক প্রকৌশল ইনস্টিটিউট (আইইই)-এর একজন নির্বাচিত ফেলো।
ড. মো. আতাউল করিমের গবেষণার ছোঁয়া পড়েছে নাসা, ম্যাগনেটিক ট্রেন প্রযুক্তি ও বিশ্বের সর্বোচ্চ প্রযুক্তিমঞ্চে। তিনি একজন প্রকৃত বিজ্ঞানী, একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষক, আর আমাদের দেশের এক গর্বিত সন্তান।
ড. আতাউল করিম মাধ্যমিকের গণ্ডি পেড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। এরপর উচ্চশিক্ষার জন্য পাড়ি জমান কানাডার ইউনিভার্সিটি অফ ওয়াটার লু তে। যেখানে তিনি ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ও অপটিকসে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তার গবেষণার প্রধান ক্ষেত্র এপলাইড অপটিকস, কম্পিউটার ভিজন,ইমেজ প্রসেসিং। এবং সবচেয়ে বিস্ময়কর ম্যাগনেটিক লেভিটেশন ট্রেন প্রযুক্তি। তাঁর এই প্রযুক্তি ব্যবহারে যেখানে ট্রেন চলবে বাতাসে ভাসমান অবস্থায়। কোন চাকায় নয়, সেই ম্যাগলেট ট্রেন প্রযুক্তির উন্নয়নমূলক গবেষণায় যুক্ত ছিলেন ড. মো. আতাউল করিম। তিনি ৩৫০ টির বেশি গবেষণা প্রবন্ধ করেন এবং সম্পাদনা করেন ২০ টির ও বেশি বৈজ্ঞানিক বই।
তাঁর গবেষণায় যুক্ত হয়েছে নাসা ও আইইই এর বড় বড় প্রকল্পে। যেখানে বাংলাদেশের নামও রয়েছে বিজ্ঞান ভিত্তিক সম্মাননার কাতারে। এক অদ্ভুত সত্য. যে মানুষটি আজ পৃথিবীর উন্নত প্রযুক্তিতে অবদান রাখছেন, তার শুরুটা ছিল এক মফস্বল থেকে। তিনি প্রমাণ করেছেন সাফল্য কোন জাতিতে আটকা থাকে না। অবস্থানে নির্ভর করে না। তা নির্ভর করে স্বপ্ন ,অধ্যাবসায় আর জ্ঞানচর্চায়।
মীর্জা ইকবাল

মন্তব্য করুন: